ঘুরে এলাম —————- সীমা সান্যাল
ঘুরে এলাম
—————-
সীমা সান্যাল
চলেছি গঙ্গোত্রী দেখতে।উত্তরকাশী থেকে গঙ্গোত্রীর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার৷
রাত থাকতেই বেরিয়ে পড়েছি আমরা গঙ্গোত্রীর উদ্দেশ্যে।
রেজিস্ট্রেশন করিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পথ চলা।
গঙ্গোত্রী মন্দিরটির আঠারো শতকে নেপালের সেনাপতি অমর সিং থাপা নির্মাণ কাজ শেষ করেন৷ গঙ্গোত্রীর উচ্চতা প্রায় ৯৯০৬ ফুট৷ কথিত আছে রাজা ভগীরথ কপিলমুনির শাপে ভষ্মীভূত পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করার জন্য এখানেই মন্দিরের কাছাকাছি একটি শিলার উপরে বসে দেবাদিদেব মহাদেবের তপস্যা শুরু করেন৷ তা থেকেই একটি শিলার নাম ভগীরথ শিলা৷ বলা হয়, তার ওপর বসেই নাকি তপস্যা করেছিলেন ভগীরথ৷
আজও এখানে ভগীরথ শিলাটি রক্ষিত আছে এবং এটিকে যত্ন সহকারে পূজা করা হয়৷
কিছুটা পথ এগোলেই দেখতে পাওয়া যাবে সূর্যকুন্ড৷ ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী এখানেই নাকি সূর্যের প্রথম আলো এসে পতিত হয়।
মন্দির দর্শনের আগে আমরা গঙ্গায় স্নান করলাম।
জলে মারাত্মক কারেন্ট।
অবিরাম ধারায় বয়ে চলেছে ধীর স্হির গঙ্গা।
পুজো দেওয়ার সময় ঠাকুরমশাইএর একটা কথা খুব মনে ধরলো– ” বলো মনে মবে, গঙ্গা মা, তোমার মতো ধীর, স্হির, করো আমার মন। আমার সংসারে ধীরতা, শান্তি বিরাজ রেখো”—-
এরপর মন্দিরে মায়ের দর্শন।বিশাল লাইন।প্রায় ৩ ঘন্টা লাইন দিয়ে মন্দিরের কাছে পৌঁছে মবে হচ্ছিল — ” দুটো চোখ আমার সার্থক হলো।মন শান্তিতে ভরে গেলো।
আহা — এ দৃশ্য জন্মজন্মান্তরেও ভুলতে পারবোনা—-