একমুঠো বিকেল। # কলমে-ছন্দা চট্টোপাধ্যায়
# একমুঠো বিকেল।
# কলমে-ছন্দা চট্টোপাধ্যায়।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া বেলাভূমিতে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেধা।
পশ্চিমাকাশে অপূর্ব বর্ণবাহার! গগনপটে রঙের তুলি বুলিয়ে যাচ্ছে অস্তরবি।মেধা আনমনা হয়ে যায়। নিসর্গের এই স্বর্গসমান রূপ আগেও মেধা দেখেছে তো! তবে অনুভবের এতো গভীরে প্রবিষ্ট হয়নি। অতনুকে বড্ডো মনে পড়ছে আজ।
মাঝেমাঝেই দুজনে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণে। পাহাড় থেকে সাগর। দু’বছর আগে অতনু দূরের তারা হয়ে গেছে।
মেধার মনে পড়ছে চার দশক আগের কথা। স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র অতনুর সঙ্গে প্রেম।অতনু চাকরি পেলো। এবার বিয়ের নির্দেশ দুই বাড়ি থেকেই, কিন্তু বিয়ের নামে অতনু কুঁকড়ে যেতো। মেধা বলে-‘বিয়েতে তোমার আপত্তি কেন অন্তু?’- -‘আমাকে বিশ্বাস করো তো মেধা?একরাত আমার সঙ্গে দীঘায় যাবে?যে কথা মুখে বলা যাবেনা,তার কিছু প্রমাণ দেবো।’-
-‘কিন্তু’-
-‘প্লিজ একটা রাত ভিক্ষে দাও।’-
সেই রাতে প্রমাণ দেখালো অতনু, তার ভালোবাসা জাগে, শরীর জাগেনা। মেধা সেই যন্ত্রণার শরিক হয়ে গেলো। তারপর চারটে দশক একসাথে পথ চলা। শরীর শুকিয়ে যায়, প্রেম চিরসবুজ।
মেধা একমুঠো বালি তুলে নিলো।আহত পুরুষের মতো গর্জাচ্ছে সমুদ্র, একমুঠো বিকেল তার আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঝুরঝুরিয়ে ঝড়ে পড়লো …