ভেজা আলফাজে চুমু খাওয়া রডোডেনড্রন হবো না—- মলয় চৌধুরী
ভেজা আলফাজে চুমু খাওয়া রডোডেনড্রন হবো না—-
মলয় চৌধুরী///
কিছু চাওয়া বাধ্যতায়,কিছু চেয়ে নিতে হয় শূন্য জীবনের ফ্রেমে,তবে খানিক পাওয়ার আমিত্বে স্বস্তির জিওনকঠি।
ভাটিয়ালি বুকে তিলেতিলে সঞ্চিত ঘা সন্তর্পণে আপন মর্মরে ডাক দেয় সরলমনা হোম ডেলিভারি ম্যান’কে।
সেদিন বিদায়ী শীত’কে ঘষটে নিয়ে যাওয়া হাল্কাপনা কাঁপুনি রেশ ছুঁয়ে মেঘলা ফাগুনের অকাল আকাশ।
অর্ডার সার্ভ এ আসা কল্লোলিত পৌরুষের মিতবাক প্রতিলিপিতে প্রফেসর ম্যাম ঋতশ্রী মুগ্ধ, মৌচাক ঘোরে আচ্ছন্ন……!
রোজ ধারাপাতের মলিন ফুলদানিতে এমনিতেই শীতল যাপন,জমে চলা রুক্ষতার অসুখী বেলাভূমিতে চওড়া হয় স্বামী-স্ত্রী দু’জন দু-মুখো’র অভিমানী উপন্যাস!
কর্পোরেট সেক্টরের আদিত্য সাহানা ,কলেজ ম্যাডামের একমাত্র সন্তান ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রী কোর্সে।
বিত্ত প্রতিপত্তি জোয়ারে কখন কোন খেয়ালিতে ভেসে গেছে আন্তরিক গালিচা,বিলাসিতা আতর মাঝে নিম্নমুখী হৃদয়শিখা থম হয়ে স্তব্ধ!
প্রেমময় গোলাপজল সংসারে অযথা অকারণ উথাল শুধু উথাল,অশান্ত ঘূর্ণি বারবার নিভে গিয়ে আবারও লেলিহান!
মধ্যবয়স্ক সুঠাম তনু’র বেডরুমে জলছাপ আঁকা কামনা বিপ্লবের রাত্রিতে মাঝখানের দূরত্বে হাই তোলে কলহের মৌরুসিপাট্টা,অতৃপ্ত চাহিদা!
হৃদয় যেখানে ঝরাপাতা,শরীর সেখানে তাগিদায় জেগে ওঠা ভুলে থাকে!
পান থেকে সাদা জিনিসটা সামান্য খসলেই বিড়ম্বনা, অসংযত শব্দের অশালীন প্রয়োগে একান্ত মন খাদের কিনারে সন্তাপী একতারায় সাক্ষী।
তাৎক্ষণিক আবহাওয়ায় নির্জন পরিচিতির ব্যক্তিত্বকে খারাপ লাগেনি।
মুখচোরা বোরোলি একঘেয়ে চৌকাঠের ঘোলাটে ঘরণীর ঠোক্কর জুটেছে ক্ষণ প্রতিক্ষণ,
সাজানো অ্যাকোরিয়াম চেয়ে নবাগত’র বক্ষজলে শান্তনীড় আশ্রয় কি নেহাৎ বিষদৃশ্য ?
আমিও তো এমন ছিলাম না!!!
সাতলহমা অভিমান সাতপাকের বন্ধনই বুঝবে,
প্রযত্নে যিনি শাঁখা পলার গার্জিয়েন।
নিঃশব্দ প্রকোষ্ঠের মৃত্যু ঘোষনায় মধ্যেকার দূরত্ব, হাইওয়ে ধরে ছড়িয়েছে মনকেমনিয়া মোড়কে ঐ অজানায়!
চারদেয়ালের একান্তে রোমান্টিসিজম মাধুর্য,
সংপৃক্তিতে ফুলের ভূমিকা অগ্রণী।
মেনে মানিয়ে চলা যত্নের সুরে যথারীতি সাজিয়ে দিই।
অসমান্তরাল তিক্ততা,ঘ্যানঘ্যান করা দোষারোপে মরশুমি কলিগুলো আমার বীতশ্রদ্ধের দোসর!
একা আমি ভালোলাগা দখিনায়,সিঁথি রাঙানো মানুষটার সাথে সম্পর্কের আঁতুড়ঘর বাঁধিনি!
প্ররোচনায় প্রতীক্ষারত চাউনির অভিসন্ধি বোঝা অক্ষমতায় ধিক্কার যাচি নিজেকে।
ভাগ্যিস মুখোশের আগল খসে নগ্ন হয়েছে অতীন্দ্রিয় ফণার গরল!
অতলগামী খাদের পিচ্ছিল পথে জাপটে থাকে দুশ্চিন্তার ঘেমোকণা,
কবিতাজ্বরে ভুগেছে বিচ্ছেদঘটিত বিষণ্ণতা।
ওজন ঘাটতির শরীর যেমন রঙ কালোতে জৌলুশ হারায়, সব খোয়ানো আমিও যেন নিকষ প্রতিচ্ছবি!
কলেজ স্টাফরুমে কানাঘুষো আলোচনা বিন্দুতে বদলে চলা পৃথিবীর আকাশ ভরা যাতনা বওয়া আহ্নিক সকালের আমি!
এই প্রথম আলোর অগোচরে অন্য গন্ধ ছেলের আঙুল ছুঁয়ে রিক্সায় ঘুরতে অস্বস্তি আসে নি পাগলপারা নারীত্বে।
হয়তো-বা নিষিদ্ধ তবু শিহরিত কুসুমে অমায়িক তৃপ্তি,লাল নীল উচ্ছ্বাস।
ভালোলাগা শপথে কানের লতি ঘেঁষা তরঙ্গ দোলার ফিসফিসানি বলে।
ভবিষ্যৎ তামাদি চাওয়া আটকে ভেজা আলফাজে রাস্তায় চুমু খাওয়া রডোডেনড্রন হবো না,
বিগতপোড়া শ্যাওলা ঠোঁটে ছায়াশ্রাবণের ডুয়ার্স হইও প্রিয়তম।