বিষয়ঃ- ????????? কলমে — ভাস্কর বোস

বিষয়ঃ- ?????????
কলমে — ভাস্কর বোস

পর্ব- ১
আমার লেখার বিষয় সম্পর্কে আমি এখানে জিজ্ঞাসা চিহ্নের ব্যবহার করেছি। এর একটি নির্দিষ্ট কারন আছে। আসলে আমি যা লিখব, তা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে লিখছি না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহু বিষয় আছে যা আমরা নিজেরা পর্যালোচনা করে থাকি। বন্ধুমহল বা আত্মীয় সমাগমে আমরা অনেক আলোচনা করে থাকি। না। এখানে কোনও পারিবারিক বিষয়ের কথা বলছি না। আমি বলছি জ্ঞানগর্ভ আলোচনা সম্পর্কে। আমরা হয়ত অনেকেই অনেক ধারণা পোষণ করে থাকি, যাকে ধরে নিই, এটাই সত্য। কিন্তু যুক্তিগত দিক থেকে তা হয়ত সম্পূর্ণ ভুল। আমরা একে অপরের সাথে প্রমাণ সহ আলোচনা করে সেই ভুল শুধরে নিয়ে সম্পূর্ণ যৌক্তিক বিষয়টাকে আমাদের জ্ঞানের আধারে তাকে সঞ্চিত করি। আমি আমার লেখার মধ্যে আমার নিজস্ব সংগৃহীত জ্ঞানের ভান্ডার খুলে পাঠক পাঠিকাদের সামনে উন্মোচন করব। ভুল আমারও থাকতে পারে। তাই আপনাদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলাম। যদি কোনও ভুল বলে থাকি অবশ্যই তা শুধরে দেবেন এবং তা প্রমাণ সহ। আনাড়ি যুক্তি অপ্রমান সহ কথা বা অপ্রাসঙ্গিক কথা এখানে কোনও ভাবে বরদাস্ত হবেনা। কারন আমরা সকলেই চাই সত্যটা জানতে। তাই আজ আমি আমার লেখার মধ্যে আমার সকল পাঠক পাঠিকাদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলাম। এই দেখুন না, বেশ কদিন ধরে আমরা খবরে দেখছি। একটি ছেলে- যাকে প্রেমিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে নাকি তার প্রেমিকাকে হত্যা করে ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় তার দেহাংশ ফেলে দেয়। এবং নির্বিকার ভাবে তার খন্ডিত মস্তক নিয়ে দিনের পর দিন এক ধুরন্ধর জল্লাদের মত দিব্যি সময় অতিক্রান্ত করে। আমরা কথায় কথায় বলে থাকি, এই ছেলেটি মানুষ নয়, কিম্বা মানসিক বিকার গ্রস্ত। কথাটা কি আদৌ সত্য? আমার মনে হয় না। কারন হিসেবে আমি বলতে পারি বিগত ইতিহাসে মধ্যযুগে এমন নৃশংস হত্যা জনসমাজে আকচার ঘটত। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের সৈন্যরা সাধারণ নাগরিক দের উপর যেভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড চালায়, তারা কি মানুষ নয়? কিম্বা তারা কি মানসিক বিকারগ্রস্ত? কোনটিই নয়। অথচ আমরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন বিশেষণ ব্যবহার করছি। ১৮৫৯ খ্রীষ্টাব্দে চার্লস ডারউইন তার বিখ্যাত “অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস” গ্রন্থটি লেখেন। সেখানে তিনি বিবর্তনবাদ এর বা অভিব্যক্তির একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ডারউইনের এই মতবাদের পিছনে অনেক বিতর্ক আছে। এটা প্রামান্য দলিল নয় তাই তাকে এখনও বিজ্ঞানীরা ‘ধারণা’ নামেই আখ্যায়িত করেন। যাইহোক এর বিপরীত যুক্তিতে আবার সৃজনবাদীরা অনেক প্রমাণ দাখিল করেন। আমি সে সম্পর্কে পরে আসছি। উভয়ের মতবাদেই একটা কথা পরিষ্কার যে, ওই পূর্বে বর্ণিত তথাকথিত প্রেমিক আর যাইহোক মানসিক বিকারগ্রস্ত নয়। কারন আর যাবতীয় কর্মকাণ্ড সে একজন সাধারণ মানুষের মতই করে। তাহলে একে আপনি কি বলবেন? হ্যাঁ। উত্তর অবশ্যই আছে। ডারউইনের মতবাদে আমরা বিবর্তিত হয়েছি পশু থেকে মনুষ্যত্বে। সেই হিসেবে বলতে গেলে ওই ছেলেটির মধ্যে পশুত্ব জাজ্জ্বল্য ভাবে বিরাজমান। একটা কথা ভুলে যাবেন না যে, আমার আপনার পাশাপাশি ঘোরাফেরা করছে এমন অনেক পশু। এখানে একটা প্রশ্ন উঠবে, তা হলো- এরা কেন মনুষ্যত্বে বিরাজমান হচ্ছেনা? আমরা যদি উভয় মতবাদ সম্পূর্ণ ভালভাবে অধ্যয়ন করি, একটা পরিষ্কার উত্তর উঠে আসবে। যুগান্তকারী উত্তর। তা হলো- জিনগত বৈশিষ্ট। হ্যাঁ। মানুষের জিন ওই পশুটার মধ্যে বিরাজমান থাকলেও তার শৃঙ্খল সুসংঘটিত নয়। উন্নত জিন আর অনুন্নত জিন যে কি বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে, তার বহু প্রমাণ আমি পরবর্তীতে দেব। এখন প্রশ্ন ওই মানুষপশুর জিনের শৃঙ্খল সুসংঘটিত হলো না কেন? হ্যাঁ। এরও উত্তর আছে। সেটা জানতে হলে আমাদের জীব বিজ্ঞানে প্রবেশ করতে হবে। আমি পরতে পরতে বুঝিয়ে দেব কেন এই শৃঙ্খল ভিন্ন ভিন্ন রূপে বিকশিত হচ্ছে। মজার ব্যপার হলো এই যে, এটা কিন্তু সুসংঘটিত করা যেত। অদ্ভুত আশ্চর্য বিষয় হলো এই যে, তা সম্ভব করা গেলনা !!! কেন ??? তারও উত্তর আছে। আমি পরবর্তী পর্যায়ে যখন আরও আলোচনা করতে থাকব, এর উত্তর বেরিয়ে আসবে।।
ক্রমশঃ ——–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *