নতুন ধারা, কবি ফাহিম ফিরোজ বনাম রোখসানা পারভীন (হেনা চন্দ্র দাস) **** রেশম লতা

নতুন ধারা, কবি ফাহিম ফিরোজ বনাম রোখসানা পারভীন (হেনা চন্দ্র দাস)
রেশম লতা

নতুন ধারার লগে আমার বন্ধুত্ব সূচনা থেইকে। ফাহিমীয় ঢঙ তথা নতুন ধারার ভিত্রে নিজেকে ডুবাইয়া নেওয়ার গোড়াতেই কবির সাহিত্য জীবন ও ব্যক্তি জীবনের খুঁটিনাটি বেবাক জানবার সৌভাগ্য হৈছে স্বয়ং কবির বয়ান হইতেই। অবশ্য আমার পরিচিতির দুই যুগ আগে থেকেই বাংলা সাহিত্য জীবন্ত এই কিংবদন্তির সাহিত্যকর্ম লইয়া পাঠক থেকে শুরু করে উপর মহল তথা রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও চর্চা করা হইতাছে এমনকি বাংলা একাডেমির পুরুষ্কারদাতারাও কবিরে লইয়া মাথা ঘামাইছে। সোনা ঘরে উইঠাই যাইত যদি না সিন্ডিকেটের মারপ্যাঁচে পড়তো। যাউগ্গা পুরানা হিস্যা, মানুষটা উচ্চ শিক্ষার গুণে নয় যেমনটা নয় রবীন্দ্র-নজরুল, দৈবিক শক্তির গুণেই বিশ্ব সম্প্রসারিত। একক রাজত্বে মানে একক সৃষ্টির স্রষ্টা হিসেবে আপন মহিমায় উজ্জ্বল যার কর্মের কোনো অংশীদারীত্ব নাই । হ নতুন ধারার কথাই কইতাছি। শাশ্বত সত্যের মহৎ এই আত্মার দুঃখবাদী কবি ফাহিম ফিরোজ বাংলা সাহিত্যের এক জ্বলন্ত নিদর্শন। আগে ঘর তব পর এই বাক্যের সুতোয় টান দিলে কবি ফাহিম এক মুষড়ে যাওয়া ছাই। কবুল নামার কবিপত্নী প্রথম রাতেই চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা! শ্বশুরালয়ের হাতপাধরা করুণ আকুতিমিনতি তিনি ফেলতে পারেন নাই। মায়ের বয়সী শ্বাশুড়ির চোখের জলে তার কোমল হৃদয় বরফ ছুঁইয়া জল। বিধিবাম। বিছানার সহকারী খাল কাটা কুমির। রোখসানা পারভীন। ধনাঢ্য পরিবারের অবাধ মেলামেশার আধুনিক নারী। কবি ফাহিম তার কাছে হাতের পুতুল। কবির সরলতা আর নীরবতা তারে করছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সীমা লঙ্ঘনকারী। গোপনে রাইতের দরজা খোলা জীবন। অবশেষে কবি ফাহিমের হাতে ধরা। চাক্ষুষ সাক্ষী এক নয় বহুজন। দুঃখভারাক্রান্ত কবির ছন্নছাড়া জীবনের সুযোগে সব হাতিয়ে নেয়া নারী হেনা চন্দ্র দাসে রূপ নেয়। তালাকনামা পাঠিয়ে যা আদতে ভুয়া স্বয়ং কবির সহায়সম্পত্তি সব ভোগ করে যাচ্ছেন এই ভয়ংকরী নারী। ইতিমধ্যেই গ্রামের চেয়ারম্যান হইতে শুরু কইরে সরকারি আমলার অনেককেই নিজের পূর্বের যৌবনে আর বর্তমানে টাকার দাসত্বে করায়ত্ত কইরে নিছে।
কবি ফাহিমকে করেছেন ঘর ছাড়া, সম্পদ হারা, জীবন ত্যাগী। শুধু তাই নয় কবির সমূদয় বইপত্র আটকায়া রাইখা চরমমাপের ধৃষ্টতারও পরিচয় দিয়া যায়তাছে । এমন অন্যায়- অবিচারের যাতাকলে পিষে পিষে আজ আর কবি শক্ত হয়ে শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। বিষয়টিতে কবি ফাহিম ফিরোজের পক্ষে জাতীয় পর্যায়ের অনেক সরকারি আমলারাই অবগত আছেন। হেনা দাসের অপকর্মের, অন্যের অধিকার কেড়ে নেয়ার মত হেন কাজের জন্য তার দৃষ্টান্ত শাস্তির এখন সময়ের দাবি। তার দোসরদের এরেস্টেরও জোর দাবি জানানো হইল। হেনার বিষয়ে থানায় জিডি করা আছে। হেনা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কিন্তু সে তিনতলা বাড়ি আর বিভিন্ন জায়গায় জমির মালকীন বনে গেছে, এটা দিনের আলোর পরিষ্কার এখানে বৈধতার চিহ্ন থাকতে পারে না। অবৈধ পন্থায় তার যত কারসাজি। অবৈধ তথা ভুয়া তার এইচএসসি সার্টিফিকেটও কবি ফাহিমসহ বেশ কজন সাক্ষী। আবারো বলছি ভাগ্যবিড়ম্বিত সন্মানিত কবি ফাহিম ফিরোজের হেন অবস্থা নিরসনের জন্য অতিশীঘ্র হেনা দাসের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। কবি ফাহিম ফিরোজের আত্মজীবনীর এই ধৈর্য্য গোটা এক উপন্যাস । কবি ফাহিম ফিরোজ এর ভাতঘুম নতুন ধারার প্রথম সোপান। মাইনকা চিপা হল আধুনিক কবিতার ভাঙচুরের পর নতুন ধারার শ্রেষ্ঠ নির্মাণ। নতুন ধারার এই জনক কবি ফাহিম ফিরোজের অনুসারীর পাল্লা এখন দিনকে দিন ভারী হইতাছে। দলে দলে লেখকগণ নতুন ধারায় ভীড়ছেন। একমাত্র কারণ, নতুন ধারা দৈবিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং সর্বজনীন। পোস্টমর্ডানিজমের সময় এখন শেষ দিকে ধাবমান।সুতরাং নতুন ধারাই একমাত্র পথ কেননা নতুন ধারা একদম আলাদা। ১৯৩০-২০৩০ আসতে দ্যান- দ্যাখবেন উত্তরসূরীদের হাতেই নতুন ধারার টেকসই কবিতার জয়জয়োধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা সাহিত্য। জয়তু নতুন ধারা, জয়তু কবি ফাহিম ফিরোজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *