দোল ✒️✒️ সুনৃতা রায় চৌধুরী

দোল
সুনৃতা রায় চৌধুরী
রিক্তশাখা পলাশ কাঁদে,’পত্র পুষ্প নাই যে গো নাই।’
কোকিল বলে,’এসো তোমায় মধুঋতুর গানটি শোনাই।’
বসন্তদূত ধরল যে তান সুরটি বেঁধে পঞ্চমেতে,
দখিন হাওয়া পাগল হয়ে ছুটল যে সেই সুরে মেতে।
কুহুতানের সেই স্বননে শূন্য বনে জাগল ফাগুন,
শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা ফুলের লাগলো আগুন।
পতঙ্গদল আসে উড়ে ঝাঁপ দিতে সেই অগ্নিশিখায়
আগুন রঙা ফুলেরা সব ডানায় তাদের পরাগ মাখায়।
প্রজাপতি মৌমাছিরা পরাগ নিয়ে খেলল হোলি
খবর পেয়ে রঙিন হয়ে এলো নবীন পত্রাবলী।
মঞ্জরিত আম্রমুকুল বকুল কেমন গন্ধ ছড়ায়
দখিন হাওয়া কোন খেয়ালে উদাস হয়ে মুকুল ঝরায়।
চাঁদটি ছিল অন্ধকারে বার্তা পেয়ে উজল হলো
তিথিগুলোর দুয়ার ঠেলে পূর্ণ হয়ে দেখতে এলো।
এমনি করে ধরায় তখন লাগলো যে দোল লাগলো যে দোল,
গৃহবাসী দ্বার খুলে দে, ভোল রে সকল যন্ত্রণা ভোল।
বিবর্ণ তোর জীবনটাকে রাঙিয়ে নে এই শুভক্ষণে।
মনের যত ধূসরতা, বিপন্নতা থাক না মনে।
জীর্ণ রিক্ত ধরা যেমন সজীবতার মন্ত্রে জাগে,
তেমনি যেন তোর জীবনে বারে বারে ফাগুন লাগে।