গোলাপী বিশ্লেষণ ✍️ Hasi Dutta ✍️
================================
গতকাল ROSE DAY গেছে তাই সামনে যদি
গোলাপ থাকে তো ভালো, নাহলে একটা
হাতে নিয়ে নিন…….
আসুন এবার এর পাপড়ি গুলো গুনে দেখি….
গুনতে গিয়ে পাপড়ির সারির ক্রমানুসারে
০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪, ২৩৩, ৩৭৭…… এই সংখ্যাগুলো পাবেন ,
এদেরকে বলা হয় ‘ফিবোনাচ্চি সংখ্যা’ অর্থাৎ, আগের সংখ্যার সাথে পরের সংখ্যাটা যোগ করলেই আরেকটি ‘ফিবোনাচ্চি সংখ্যা’ পাওয়া যায়…..
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ফুলই এই নিয়ম মেনে চলে। শুধু ফুল নয়, কিছু ফলেও ফিবোনাচ্চি সংখ্যা দেখা যায়। আনারসের “চোখ” গুণে দেখুন। এক সারিতে ৮ টা কিংবা ১৩ টা থাকে….
আরও চমক আছে…..
পাশাপাশি দুটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যার যদি পরেরটাকে আগেরটা দিয়ে ভাগ করেন দেখবেন ভাগফল ১.৬১ হবে ,একে বলে
‘গোল্ডেন রেশিও’……….
পাখিরা যখন দলবেঁধে আকাশে ওড়ে, গণণা করে যদি দেখেন তবে দেখবেন , প্রতি দলে হয় ১৩ টা নাহয় ২১ টা নাহয় ৩৪ টা পাখি থাকে…….অর্থাৎ ফিবোনাচ্চির সংখ্যানুযায়ী এরা দলে বিভক্ত থাকে। যদি শিকারীরা কোনো একটা পাখিকে মেরে ফেলে, এরা দল ভেঙ্গে আবার ফিবোনাচ্চি সংখ্যানুযায়ী দলবদ্ধ হয়……
সত্যি-ই এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত রহস্য!!!!!!
এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো কে !!???!!!!
অবশ্যইইইই প্রকৃতি……
প্রকৃতির থেকে বড়ো শিক্ষক কেউ হয় না…..
ইটালির লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি সর্বপ্রথম এটি আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারেই এই ধারার নাম হয়েছে, ‘ফিবোনাচ্চির ধারা’……..
এই ধারার জনপ্রিয়তা এখন প্রচুর………
বর্তমানে মিউজিকে এর বহুল ব্যাবহার দেখা যায়। বড় বড় ব্যান্ড দলগুলো বিভিন্ন মিউজিকে ফিবোনাচ্চির ছন্দ ব্যাবহার করেছে এবং মিউজিকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে………