ভালো থাকুন কৃষ্ণকলি…
© মোনালিসা সাহা দে
“তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ…”
কিন্তু বাস্তবে কি সত্যিই কেউ কালো হরিণ চোখে আলোকপাত করে? গায়ের রং কে উপেক্ষা করে প্রকৃত সৌন্দর্য্যের দিকে কেউ কি তাকায়? মুখশ্রী, বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান ও গুণের উপর কেউ কি গুরুত্ব দেয়? হয়তো অনেকে দেয়, তবু অনেকেই আজও দেয় না। তাই তো শ্রীলা মজুমদারের মত অভিনেত্রীকেও নিজের রং নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে হয়েছে সারাজীবন। গতকাল আনন্দবাজারকে দেওয়া মমতা শঙ্করের সাক্ষাৎকারে সে কথা উঠে এসেছে বারবার।
অভিনয় ক্ষমতা ছিল অসামান্য। দু চোখের আবেদন ছিল উল্লেখ করার মতোই। কন্ঠস্বরেও ছিল অন্য আকর্ষণ। কিন্তু সেই দিক থেকে দেখতে গেলে শ্রীলা মজুমদার যথাযোগ্য কাজ পেয়েছেন তুলনামূলক ভাবে বেশ কমই। ‘পরশুরাম’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘খারিজ’ ইত্যাদি কয়েকটি ব্যতিক্রমী ধারার ছায়াছবি ব্যতীত অন্যান্য ছায়াছবিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তিনি পাননি। ‘চোখের বালি’ ছায়াছবিতে ঐশ্বর্য রাইয়ের কন্ঠে তিনিই অভিব্যক্তি পেশ করেছিলেন। তবু শেষের দিকে টুকটাক চরিত্রে বাণিজ্যিক ছবিতে এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকেই তাঁকে দেখা যেত। কিন্তু কেন? প্রশ্নের উত্তর কি পাওয়া যাবে?
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা কি? গুণের ব্যখ্যা বলতে ঠিক কেমনটা বোঝায়? গায়ের রং এর আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় কেন আসল রূপ?
সকল প্রশ্নের উত্তর আজও রয়ে গেল অসমাপ্ত। গতকাল চিরবিদায়ের দেশে চলে গেলেন তিনি।