নির্বিকার জীবন

✍ স্বপ্না বিশ্বাস

রোজ রাতে নিদ্রাহীন চোখে শর্বরীকে ঘুমাতে দেখি।
আকাশে স্থির দাঁড়িয়ে ধ্রুব নক্ষত্র;
রাতের তিমিরে অজান্তে কত ফুল ফোটে
নিরালায়;
শিশিরের শব্দে ঝরে পড়ে রক্ত করবীর পরাগরেণু।
পাপড়ির মাতাল গন্ধ উবে যায় মৌসুমী
বাতাসে,
অস্ফুট কত কথা,বাষ্পীভূত হয় অন্ধকারে।
মাঝরাতে আঙ্গিনায় শোনা যায় যেন ঘুঘুর
ডাক;
নিঃশব্দে পাতা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে শিশিরের
ফোটা।

জঘন্য কিছু মন,সরলতাকে করতে চায়
নষ্টা,
শুভ্র আবরণে লাগাতে চায় কলঙ্কের দাগ;
প্রতিনিমেষ শিকারের সন্ধানে যেন হায়নার দল।
পঁচা শবের মত শকুনেরা চায় ছিঁড়ে খেতে;
মনের অলিন্দে বসে কাঁদে লক্ষ্মীছাড়া পেঁচা।

প্রবল ঘূর্নিতে ঝরে পড়া মুকুল পদে পদে
সয়ে যায় আঘাত আর অবজ্ঞা,
জীবন যেন পোড়া মাটির মত নির্বিকার;
ঝরে যাওয়া ব্যথিত কামিনীর মর্মবেদনা,কেই বা বোঝে?
প্রতিনিয়ত চাপ চাপ রক্তক্ষরণ সাদা পর্দার আড়ালে,
নির্জন গলিতে হেঁটে যাই জোঁনাকির পথে;
দৃষ্টিতে ভাসে নির্জল-নিষ্পত্র শূন্য মরুদ্যান।
একদিন কৃষ্ণচুড়াও মেখেছিল আবীর,
শিমুলের লাল ফুল নিমেষে হয়ে গেল সাদা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *