মাইয়া কোন্দল

ফাহিম ফিরোজ

বড় আপুর বিয়ে অচিন্তপুর
সুরাসুর
লড়াই লাইগা থাকে।
বাঁকে। ঝাঁকে। ইশ্
বালিশ লইয়া
হুইয়া চুপ। এরা রহস্যময় হয়ে ওঠে।
ঠোঁটে বগুড়ার লংকা
শংকা।ঝাঁঝ!
মরছিনা বাঁচছি কিছুই জানিনা।
সাহিনা বু ছুটে এসে এসব থামায়
নিরোপায় কিন্তু আমি। পালের বড় বউ।
কেউ কেউ দজ্জাল কয় আমার
সবার সামনে, ফাঁকে কিল ঘুষি আমিও ওদের দেই।
এই না হলে ঝগড়া থামে কই?
নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে দলা বদ্ধ জোট!
গুমোট বেলায়, বৃষ্টির তাড়ায়
নিতাইয়ের মা’য়— রোজ আসতে পারেনা।
জানেনা কেমনে কোন্দল ভাংগায়…
অসহায়। ভাবীর নিকট কিছু সহায়তা নেয়।
দেয়।তবু কাইজা ঝুইলা রয়।
পৃথিবীময় কোনো আদালত নাই মাইয়া কোন্দল থামাতে পারে।
একে বারে সব শেষে আহে
বাহে, অবসর নেয়া এক সেনাকর্তা। চোখে এখনো আগুন!
লাগুন
এসব রিপুর
নিগোঢ় ভর্তা করার শক্তি আছে।পাছে আমিরের চায়ের দোকান।
একখানা কাঠের চশমা পরে…
আরে, চশমার কাচঁ তাহার কাঠের।তাইতো
এইতো মানিহীন, সৎ ও নিরোপক্ষ।
উল্লেখ, গিবদ পন্থীদের দোকান থেকে
জেঁকে ধরের আমিরের…।
নিজের ভাই হলেও মাফ নাই।বিয়াই, শোনেন শোনেন,
চেয়ারম্যান। তার কাছে গেলে কিছু মাল খেয়ে আধা বিচার
বারবার করে ছেড়ে দেন। ক্যান, এসব নোংরামি করে বেটা?
এটা জেনেও সৈয়দ পাড়ার সোহাগী, কুমার পাড়ার মালতি, লাভ খোর
অসুর মতিয়ার আহে।

এবার কাইজা
ফাইজা সব মাফ করে
একবারে চলে যান নভান্চল ছেদা করে মহা পুরুষ!

*বিবাহ ছন্দে লেখা। নতুন ধারার চমক কবিতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *