গীতশ্রী সিনহা —— সম্পাদক, বিনোদন বিভাগ
সম্পাদকীয়
Dinajpur Daily বিনোদন বিভাগের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল, অভিনব এক পথচলা। এক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে, জন্ম নেবার জমি প্রস্তুতের দ্বান্দ্বিকতার মধ্য দিয়ে যেন সংকীর্ণ পথচলা। যেন শূন্য থেকে শুরু। শিকড়ে শিকড়ে বুঝি বা থাকে কিছু মাটির গভীরে। কলা গাছ উপড়ে ফেলার পর আবার একসময় যেরকম মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে নতুন চারা। অদম্য তার টান। জীবনের সঙ্গে তার প্রেম সমস্ত বোঝাপড়ার অতীত। দায়বদ্ধতা এখানেই। এতো গেল নিজের সাথে নিজের দায়বদ্ধতা। দায়বদ্ধতা থাকে পাঠকের কাছে, ইতিহাসেরও কাছে।
একটা অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে সেটা তো নয় ! আবার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ তা – ও – না। নতুন নতুন নাম যোগ হচ্ছে আমাদের এই বিভাগীয় প্রতিটি সংখ্যায়। এ-ভাবে বিভাগের একটি নিজস্ব চরিত্র গড়ে উঠছে হয়তো-বা, যা খুবই কাম্য।
এই – দেশ জুড়ে ভাঙনের সময়, এ যেন রাস্তার পাশে গাছের ফল, যে যেমন খুশি গায়ের দাপটে পেড়ে খেতে চায়। ব্যপারটি হয়তো বা সরলিকরণ হল। পরিবর্তন ঘটুক মানুষের চেতনায়, সামাজিকতায়। বাজার দর্শন ভাবতে শেখাচ্ছে সবকিছুই পণ্য হিসেবে। শেখাচ্ছে, আলু – পটলের মতো ভালোবাসাও কেনাবেচার যোগ্য পণ্য। বাড়ছে মহিলাদের উপর অত্যাচার। ধর্ষণ খুন প্রাত্যহিকতায় আচ্ছন্ন। পচা এক সময়ের শিকার সামাজিক মানুষ। এ সমস্তর প্রতিফলন ঘটুক সাহিত্যের কলমে। সময় ইতিহাস জীবন চেতনায় ঋদ্ধ বস্তুমুখিন চিন্তার প্রকাশ চাই সাহিত্যের আঁচড়ে।
সাহিত্য সংস্কৃতি যে কোনো জাতির আত্মপরিচয়ের প্রধান স্মারকচিহ্ন। জাতির নিজস্বতা বিরাজ করে দ্বিধাহীন, ভয়হীন সৃষ্টিতে মাতোয়ারা, সামাজিক প্রেক্ষাপট আছড়ে নিংড়ে তুলে আনবে সব অবিস্মরনীয় কবি -লেখক। যেগুলি হবে কালের প্রতিভূ ও কালাতিক্রম সম্পদ।
আসুন, সমবেত কন্ঠে বলে চলি, ” একটা নতুন স্তবকের জন্য এগিয়ে চলি, পড়ে থাক অতিরিক্ত দৃশ্যাবলী “…
শিশুর হাসির মতো সূর্যোদয় আসুক, আসুক কোকিলের কলতান… মুছে যাক কলরব।
শুভেচ্ছা শুভকামনা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী সংখ্যায় নতুন কিছু চমকপ্রদ লেখা নিয়ে।
গীতশ্রী সিনহা —— সম্পাদক, বিনোদন বিভাগ।