“শরীর খেকো” *** -সান্ত্বনা
“শরীর খেকো”
-সান্ত্বনা
অমাবস্যার গাঢ় অন্ধকারেও
আমি বুঝতে পেরেছিলাম,
সে আমার শরীর চাইছে
আমাকে নয়…….
ও আমার কানের কাছে ভালোবাসার
স্বরলিপিতে গলা সেধে যাচ্ছিলো
আমি বুঝতে পেরেছিলাম,
ও না কোনো প্রেমিক পুরুষ
না কোনো ভালোবাসার সুর সাধক।
শকুনের দৃষ্টি ভাগাড় অব্দি
জীবন্ত লাশের উপর হামাগুড়ি দিয়ে
মাংস পিণ্ড চটকে চটকে রক্ত চুষে খায় ওরা
রাতের অন্ধকারে নিশাচর হয়ে
শরীর খোঁজে হন্যে হয়ে।
আমি ওর গায়ের গন্ধে বুঝেছিলাম,
ও কোন মানুষ নয়,কৃত্রিমতায় ঢাকা
একটা জানোয়ার,
হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলাম
কুচি কুচি করে কেটে পায়ের তলায়
পিষে দেব বলে।
কিন্তু ফুলি,কুসুম,জরিনা এরা….?
যারা অস্ত্র বিহীন নেতিয়ে পড়া ঘাসফুল!
যারা আত্ম রক্ষার জন্য প্রতিরাতে
গুটিয়ে থাকে রেল লাইন,ফুটপাত কিংবা
পরিত্যাক্ত কোন গৃহ বারান্দায়!
রাত বাড়তেই হায়নার চোখ চকচক করে ওঠে,মুখোশ ছেড়ে বেরিয়ে আসে পা টিপে টিপে। শকুনের উড়ে যাবার পতপত শব্দে
ঘুম ভেঙে যায় ফুলিদের
ভয়ার্ত দৃষ্টি মেলে তাকায় এদিক ওদিক,
তারপর………..??
তারপর এক সময় শরীর খেকোর
শিকার হয়ে যায়।