“আমার রবীন্দ্রনাথ ✒️✒️ মৃণালিনী
“আমার রবীন্দ্রনাথ
✍🏼✍🏼মৃণালিনী
” আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাইনে তোমারে,
দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে ”
সত্যিই তো আজও তুমি দাঁড়িয়ে আছো এই অসহায় দেশের অগণিত মানুষের সুখে দুঃখে, চিন্তায় চেতনায়।
বেঁচে আছো তুমি আড়ম্বরে নয়, আছো সাধারণ মানুষের অনুভবে।
যখন দারিদ্রতার নিদারুণ যন্ত্রণায় দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যায় কত মানুষের স্বপ্ন ।
তখনই মনে পড়ে তোমার গান
” ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি, বনের পথে যেতে যেতে “।
মা মারা যাওয়ার পর বারবার তোমার কবিতা মনে পড়তো, মনে হতো যেন তুমি আমার জন্যেই লিখেছ এই লাইনগুলি,” শ্রাবনের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে “।
কতবার ঝরে পড়েছে আমার চোখের জল এই গান গাইতে গাইতে।
যখনই কোন কাজে ভয় পেয়েছি পিছিয়ে আসতে চেয়েছি তখনই তোমার গান গেয়ে সাহস পেয়েছি মনে, জীবনে হেরে যাবো না ।” নাই নাই ভয় হবে হবে জয় “।
নিজের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই তোমাকে যে পেয়েছি তাইতো তুমি আমার জীবন আকাশের রবি।
যখনই ভেবেছি আমি একজন সাধারন মেয়ে,
তখনই তো তোমার সাধারণ মেয়ের স্বপ্ন দেখেছি, মনে হয়েছে বারবার আমাদের মতো সাধারন মেয়েদের জীবনে তুমি এক আশ্চর্য স্বপ্ন।
তোমার উপস্থিতি সব স্থানে অনুভব করি প্রেমে পড়লে, বিরহ হলে, হারিয়ে গেলে সব স্থানে।
যখন খুব রেগে যাই তোমার কথা মনে পড়ে যায়, শান্ত হয়ে ক্ষমা করে দি” ক্ষমা করো সবে, বলে গেল ভালোবাসো
অন্তর হতে বিদ্বেষ বিষ নাশো “।
তোমাকে নিয়ে লেখার শেষ হবে না, তুমি যথার্থই বলে গিয়েছিলে কবি,” আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার কবিতাখানি কৌতুহল ভরে “।।