#পুনর্জন্ম কলমে : গীতালি

#পুনর্জন্ম
কলমে : গীতালি

১১. পুনর্দেহধারন Reincarnation (return to earth):

এই স্তরটি হল চরম স্তর। যে আলোর সুড়ঙ্গ পথে আত্মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিল, সেই সুড়ঙ্গ পথেই সে আবার মাতৃজঠরে প্রবিষ্ট হয়। জন্মের পরেই এক মায়াবী জাল (veil of illusion) যেন তার উপরে পড়ে, কিন্তু পুরোপুরি নয়— কিছু কিছু স্মৃতি যেন তার উপরে পড়ে আবার পড়ে না। অনেক শিশু কিন্তু তার পুরানো জীবনের কথা মনে করতে পারে, তারা কখনও কখনও কাল্পনিক বন্ধুদের কথা বলে। কিন্তু পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই তারা ভুলে যায় সেই পূর্ব জীবনের স্মৃতি।

কেউ কেউ এই ব‍্যাপারটায় খুবই বিস্ময় প্রকাশ করে যে কেন সেই স্মৃতির মায়াবী জাল সরে যায়, আর কেনই বা সেই মূল স্থান থেকে আমাদের সরে যেতে হয় !
এ বিষয়ে নানা মত পাওয়া গেলেও… এই মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, যদি আমাদের পূর্ব স্মৃতি ও পূর্ব পরিকল্পনা সকল মনে থাকে তবে তো আমরা পূর্ব জীবনের কেন্দ্রেই পড়ে থাকব। সে কারণেই স্মৃতি সরে যায়।

যদিও সেই সব স্মৃতি সরে যায়, তবুও একথা ঠিক নয় যে আমরা পৃথিবীতে আসব অনিচ্ছা নিয়ে। আত্মা আত্মীয়-পরিজন-সঙ্গ লাভ করে, যদিও সকলেই তাকে হয় তো সাহায্য করেনা কিন্তু জন্মের অব‍্যবহিত পর থেকেই অন্তত কোনো একজন আধ‍্যাত্মিক পথপ্রদর্শক তাকে(আত্মাকে) পৃথিবীতে থাকতে সাহায্য করবে।

এই সাতটি প্রক্রিয়ার মাধ‍্যমে আত্মা একদেহ হতে দেহান্তরে প্রবেশ করে। এভাবেই আত্মা পুনর্দেহ ধারণ করে।

এই অধ‍্যায় এখানেই সমাপ্ত হল। সবকিছুই মানুষের বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের উপরে নির্ভর করবে। এই সম্পূর্ণ লেখাটি গবেষণালব্ধ পরীক্ষার ফল। সুতরাং মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য কিনা তা মানুষই ঠিক করবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *