টুরা হিলি করিডর বাস্তবায়নে টেন্ডারের প্রক্রিয়া ভারত সরকারের জানালেন প্রধানমন্ত্রী, বালুরঘাট থেকে সরক পথে মাত্র ৮০ কিমিতে মেঘালয়
২৭শে ডিসেম্বর, রূপক দত্ত, দিল্লিঃ দীর্ঘ ১১ বছরের জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর টুরা হিলি ভায়া বাংলাদেশ করিডর কমিটির আন্দলোনের সাফল্যের আর একটা মাইলস্টোন স্পর্শ করলো এবার, ভারত সরকার বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে দেশের দুই প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে ২লেন রাস্তা নির্মানের ডিপিআর সহ নির্মান কাজের টেন্ডার আহ্বান করতে চলেছে ভারত সরকারের সংস্থা NHIDCL, করিডর কমিটির কাছে এমনি চিঠি দিয়ে জানালেন ভারত সরকারের সরক, পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রী অলকা উপাধ্যায়। চলতি মাসে করিডর কমিটির একটি চিঠির উত্তরে সংসদের প্রটেম স্পিকার শ্রী এন কে প্রেমাচন্দনকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এই প্রসঙ্গে সংসদের প্রটেম স্পিকার শ্রী এন কে প্রেমাচন্দন দিল্লিতে করিডর কমিটির কাছে চিঠিটি করিডর কমিটির আহ্বায়ক শ্রী নবকুমার দাস, প্রাক্তন সাংসদ শ্রী রনেন বর্মন, অমূল্য রতন বিশ্বাস ও রূপক দত্ত এর হাতে তুলে দেন।
পাশাপাশি বালুরঘাট থেকে হিলি হয়ে বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে টুরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতীয় রেল, করিডর কমিটির কাছে এমনটাই জানান রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার ত্রিপাঠী।
করিডর আন্দোলনের মূল বিষয় ছিলো বালুরঘাট থেকে মেঘালয়ের মধ্যে রেল, রোড ও এয়ার পরিবহনের বাস্তবায়ন, আর যে আন্দোলন ২০১১ সাল থেকে লাগাতার শুরু হয়েছিল তাতে বর্তমানে সাফল্যের শিলমোহর ফেলে দিলো ভারত সরকার। এই আন্দোলনের শুরু থেকে করিডর কমিটির সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী করনাড সাংমা, টুরার সাংসদ আগাসি সাংমা, মহেন্দ্রগঞ্জের বিধায়ক ডিচিংচি ডি সিরা, সংসদের প্রটেম স্পিকার শ্রী এন কে প্রেমাচন্দন ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
করিডর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস জানান একটা সময় ছিল যেদিন এই আন্দোলন ও আমাদের কমিটিকে গুরুত্বহীন বলে মনে করতো অনেকে কিন্তু প্রায় ১২ বছরের লাগাতার আন্দোলনে আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সমর্থ হয়েছি, আমাদের পাশে ভারত ও বাংলাদেশের যে যে ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতা পেয়েছি আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।