*আলোর পথযাত্রী* শান্তালতা বিশই সাহা
*আলোর পথযাত্রী*
শান্তালতা বিশই সাহা
আঁধার এসে গোধূলিকে ডিঙিয়ে; বন্ধুত্ব পাতায় অমানিশার সাথে,
অমানিশাও, সময়ের সরণি বেয়ে
ভোরের আলোর অনতিদূর হতে ওকে আহ্বান জানাই, বলে
ওগো আঁধার তুমি বিদায় নাও,
তবেই না নব প্রভাত আসবে।
এ ধরিত্রীর সকলেই চায়
আঁধার মাঝে আলোর স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে,
গর্ভজাত ভ্রূণও একদিন গর্ভগৃহের মায়া ত্যাগ করে,
সোনালী আলোর পরশ পাবে বলে।
পহাড়ের বুক চিরে ঝরণা ধেয়ে আসে মোহানার দিকে,
সমুদ্রে আছড়ে পড়ার আনন্দে বিহ্বল হতে।
হে আদিত্য,
তোমার পরশ লাগি অগ্নিশিখা
সে যে সদাই ঊর্ধ্বমুখী!
এ ধরণীর যা কিছু
সবই আছড়ে পড়ে আপন ভাণ্ডারে!
হয়তোবা ওরাও চাই,
কোন অজানা আলোর ঠিকানা!
হতে পারে তা চাঁদের কিরণ,
কিংবা দীপাবলির ফানুষ বাতির আলো,
হয়তোবা কুয়াশা জড়ানো অন্ধকারে
নিভু নিভু জোনাকি ও তারাদের আলো,
এই আলোও তো দুখের দুয়ার ভেদ করে প্রতিভাত হয়,
জ্যোর্তিময়ীর দুনিয়ায়।
শুধু দীপাবলির আলোকমালা নয়,
মানুষ মেতে উঠুক,
সকল আঁধার ভেদ করে
আলোর পথে এগিয়ে চলার চিরকালীন উৎসবে।