বাংরেজী।(রম‍্য রচনা)। কলমে-ছন্দা চট্টোপাধ্যায়।

বাংরেজী।(রম‍্য রচনা)।
কলমে-ছন্দা চট্টোপাধ্যায়।

কিছু মানুষ রেগে গেলেই অসংস্কৃত ভাষা প্রয়োগ করেন। কেউ কেউ আবার ইংরেজিতে গালাগালিকে মনেকরেন ফ‍্যাসন,এটাই তাঁদের প‍্যাসন।বিরক্ত হলেই-” সিট্ “-।যাকে বাংলায় বলে
-” ধুস্ শালা।”-।বাংলার শ্রুতিকটু ভাষা কী ভাবে ইংরেজিতে রূপান্তরিত হয়,( অনুদিত নয়) তার একটি নমুনা দেখাই।

বছর পনেরো আগে আমি গ্রামবাসী হয়েছিলাম। কোলকাতার উপকন্ঠে সেই সমৃদ্ধ গ্রামে তখন নগরায়ণ শুরু হয়ে গেছে।কাছাকাছি প্রচুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।সম্পন্ন গ্রামবৃদ্ধরা তাঁদের নাতিপুতিদের মুখে ইংরেজি শুনতে চান। স্কুলগুলি -তে ছাত্রসংখ‍্যা বৃদ্ধি পায়।তাদের অভিভাবকরা আমার কাছে তাদের বাচ্চাদের -” পেরাইভেট”-
পড়তে পাঠাতেন।আমারও যৎকিঞ্চিৎ অর্থাগম হচ্ছিল।একদিন পিন্টু বললো-” দানো ম‍্যাম মা খুব দুত্তু। আমাকে খালাপ কতা বলেচে।”-আমি সব সময়ে বাচ্চাদের শেখাতে চেষ্টা করতাম যে খারাপ
কথা বলতে নেই।অতএব আমার কাছেই নালিশ।
জিজ্ঞেস করলাম -“কী বলেছে তোমার মা?”- বলল
-“অল আউটের দাঁত।”-সেটা কী বস্তু!ইংরেজী গালি
নাকি?ওর মাও শিখে গেল!?বললাম -“মানে কী?”-
খুব রেগে গেল পিন্টু-“কিত্তু দানো না তুমি।বুত্তে পাত্তো না? ন‍্যাতা!অল আউটের দাঁত।”-আমাকেই গাল দিয়ে বসলো চার বছরের বাচ্চাটা।ওর মাকে ডেকে
পাঠালাম।কবুল করলো-” ওলাউঠোর জাত।”–
ইংলিশ মিডিয়ামে বাংলা গালির এই উন্নতি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
——————————————————————–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *