*কবিতা: স্বাধীনতা* ✒️ *নীহার কান্তিমন্ডল*
*কবিতা: স্বাধীনতা*
*নীহার কান্তিমন্ডল*
অগণিত শহীদের আত্ম-বলিদানে
দেশ তো স্বাধীন সেই সাতচল্লিশ সনে
যদিও সে স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই
স্বপভঙ্গ হয়েছিল শত শহীদের।
ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে–
নিজ নিজ সিংহাসন নিষ্কণ্টক কল্পে
ধর্ম আর জাতের সূক্ষ্ম বিভাজনে
বিভাজিত হয়েছিল অখন্ড ভারত।
বাঙালিও দ্বিখন্ডিত – গভীর চক্রান্তে।
সে তো গেল ভৌগোলিক সীমারেখা শুধু
স্বাধীন দেশের সংবিধানে–
নাগরিক-অধিকার লিপিবদ্ধ আছে–
সাম্য, বাক-স্বাধীনতা,
ধর্ম-পালনের অধিকার,
অধিকার আছে শিক্ষা-সংস্কৃতি আর
বঞ্চনার প্রতিরোধেও,
আছে প্রতিকার কাগজ-কলমে।
তবু এখনও সব নাগরিক
পায় না আহার,
কত শিশু দু’মুঠো ভাতের স্বপ্ন দেখে
—- এখনো নিদ্রা যায়
শিক্ষা এখনো কারো কারো কাছে
শুধুই বিলাসিতা
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এ সমাজ
ধর্ষকের থাবা বসে ছয় থেকে ষাট।
স্বাধীনতা উদযাপনের মঞ্চে
যে মেয়েটি খুব নেচে গেয়ে ছিল
অর্ধনগ্ন দেহে তাকে পরদিন ঝোপে পাওয়া গেল,
বেকারত্বের জ্বালায় ধুঁকছে আজ
দিশাহীন আশাহত যুবসমাজ
এখনো আসে নি মৈত্রী, সাম্য, অধিকার
ধর্ম-জাত-পাত —–
এখনো রাজনীতিকের উপজীব্য,
সামাজিক ভেদাভেদ নির্মূলের
সাংবিধানিক রূপরেখা
এখনো অধরা।
সীমান্তের গন্ডিরেখার মতো
নাগরিক অধিকার — গন্ডিবদ্ধ আজও।
স্বাধীনতা দিবসেও স্বাধীন ভাবে
স্বাধীনতা পালনের
আছে স্বাধিকার?