মনের কথা অবলার ভালোবাসা ✒️✒️ কবিত্রি নই -বাবিয়া মিত্র নন্দী
মনের কথা
অবলার ভালোবাসা
কবিত্রি নই -বাবিয়া মিত্র নন্দী
উঠে দাঁড়াতে লাগে একটা ভরসার হাত
ঘুরে দাঁড়াতে লাগে একটা বড়সড় রকমের আঘাত।
কিছু মানুষ করবে তোমার সামনে তোমার সুনাম
আড়াল থেকে পরখ করলে তাদেরই মুখ থেকে বেরুবে তোমার নামের দূর্নাম!
ঠিক দস্যু রত্নাকর যেমন “মরা” ” মরা” বলতে বলতে
একদিন বলেছিলেন “রাম”।
কিন্তু এখন আর মুখ ও মুখোশ চেনা বড় দায়।
পোষ্য রেখো তোমার বাড়ির উঠোনে
যে বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতি সন্ধ্যে তুমি তুলসী মঞ্চে
প্রদীপ জ্বালো
বাড়ির সকলকে আপনজন দের রাখতে ভালো।
কে আপন আর কে পর সব আজ ঘেঁটে “ঘ”।
কুকুর দেখলে অযথা ভয় পেয়ে তাড়িয়ে দাও
আর মানুষ দেখলে যেন প্রাণ ফিরে পাও।
কারণ তারা রঙ্গে রূপে তোমার সমগোত্রীয়।
কি লাভ বল?
ভালোবাসার প্রতিদানে যদি ভালোবাসা টাই না পাও।
বিশ্বাসের সুরে যদি মূর্ছনা না ওঠে!
সেতারের সুর টা কেমন যেন জল তরঙ্গ হয়ে কেটে কেটে নিঃশেষ শ্বাস ফেলে অযথাই বুকে।
থাকতে পারবে কি তখন তুমি সুখে?
নীরব হও,যখন সরব হয়ে কোনো লাভ পাও না।
এমন নীরব হও যাতে করে তুমি না,তোমার দুই নয়ন কথা বলে।
যতটা অবলা হ’লে তুমি শুনতে পাবে আরেক অবলার দুঃখ কষ্ট ও কান্না।
আগলে রেখো তোমার বাড়ির পোষ্য কে।
তাদের বুকে মাথা রেখে কখনও শুনো তাদের মনের যন্ত্রণা।
হ্যাঁ মানুষই দেবে তোমায় অনেক সু ও কুমন্ত্রণা।
ওরা দিতে পারবে না এসব
ঈশ্বর ওদের মুখে ভাষা দেন নি।
বিপরীতে দিয়েছেন একটা সহজ সরল শিশুসুলভ মন।
ওদের ভালোবাসা ওদের বিশ্বাস ওদের মতনই খাঁটি
সেখানে কোনোরকম চলে না কোনো রঙ্গ রসিকতা
ওরা হয় ভীষণ রকম ভালোবাসার কাঙ্গাল।
ওরা জানে না মানুষে মানুষে ভেদাভেদ
কে হাঁড়ি, কে মুচি কে বা ডোম চাঁড়াল!
ওরা ভীষণ পরিমাণে স্বাধীনচেতা।
খোলা আকাশের নীচে ওদের অবাধ বিচরণ
সেখানে ই তুমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা কোরো
অবলার সঙ্গী হয়ে থেকো আমরণ।।
(বিঃ দ্রঃ- কুকুর, বিড়াল অনেকে পছন্দ করেন না আবার অনেকে করেন।আমার ভীষণ ভালো লাগে ওদের সরলতা।সব মানুষ যেমন এক হয় না।সকলের ভাবনাও এক নয়।কারুর ভাবনা কে ছোটো করার জন্য এই লেখা নয়।আমি লিখি কম।পড়ি বেশী।নিজের ভালো লাগা থেকেই আজ লেখার প্রচেষ্টা।খারাপ লাগলে ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন।)🙏🙏🙏🙏❤️❤️❤️🌹🌹🌹🍬🍫🐱