বিরহের রাজপথে (পর্ব-১৭) অবহেলিত প্রেম ✒️ কলমে নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)

********বিরহের রাজপথে**********
********(পর্ব-১৭)***********
********অবহেলিত প্রেম*********
কলমে নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)
চিরন্তন সময়ও মাঝে মাঝে ক্লান্তিতে ভারাক্রান্ত হয়ে যায়,
মনোরম বসন্তেও তাই নেমে আসে শ্রাবণের ধারা।
একটানা আবহ সংগীত গেয়ে চলা কোন অচেনা পথিকের শরীরের উপর দমকা হাওয়া খেলে যায়।
চিরবিরহের রাজরাস্তায় কখনো প্রেম ধরা দেয়,
যে পথে রোজ অপেক্ষায় থাকে কোন মেঘবালিকা!
সেই পথের ধারে সে ভিক্ষা করে,
একটা আস্ত প্রেমের সকাল!
যেখানে চিরমিলনের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন করে তোলে আরো মোহময়ী ।
সেই যে রাস্তায় রোজ দাঁড়িয়ে থাকে,বার্ধক্য ছুঁয়ে যাওয়া অবীনবাবু!
তার কৈশরের প্রেমিকার চোখে চোখ রেখে
পরজন্মের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাবে সে!
বলে যাবে!
কোন বাধা মানবো না আর,
পরজন্মে তুমি শুধু আমার হবে;
সমাজের চোখরাঙানিকে আজ আর ভয় পায় না সে।
যৌবন শেষের কোন রমনীও রোজ হেঁটে যায়….
খুব সাধ ছিল সাদা শাড়িকে লাল রঙে রাঙিয়ে তুলতে যার,
প্রেম বেশ কয়েকবার কড়া নাড়িয়ে ফিরে গেছে অসময়ে।
বার বার জীবনের যুদ্ধে পরাস্ত মেয়েটি পুনরায় প্রস্তুতি নেয় জীবনের শেষ যুদ্ধ জয়ের।
আধপোড়া চেহারায় সে স্বপ্ন দেখে কাল্পনিক সংসারের!
তাকেও সেই পথে রোজ দেখা যায়,
সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছুঁয়ে দেখেনি যে কোনদিন!
সেই কালো মেয়েটিরও চোখ ছুঁয়ে যায় কাজল,
যদিও সে চোখে চোখ রেখে বাঁচার জন্য মরিয়া হবে না কোন সুপুরুষ!
এটা জেনেও সে স্বপ্ন দেখে!
সেই পথে অপেক্ষায় আছে কোন প্রেমিক লাল গোলাপ হাতে।
মালবিকাও সেই রাস্তায় রোজ সকালে এঁকে দিয়ে যায় আলপনা,
যদি সে এসে ফিরে যায় অবহেলায়!
তাই প্রেমের পরিপাট্য,
নিখুঁত হয়ে ওঠার ব্যস্ততা তার চোখে মুখে।
মেঘের গর্জনে হৃদয় কেঁপে উঠলেও কোন কোন প্রেমিকা সেই পথেই খোঁজে মুক্তি!
কোন অপরিচিত কবির কলম ছুঁয়ে দু এক পা হেঁটে আসা কবিতা আচমকা ঝড় তুলে যায়।
নিজেকে বদলে ফেলতে মরিয়া কোন প্রেমিক সেই পথেই নিজেকে খুঁজে পায়।
সেই পথেই হারিয়েছে কোন একাকী নারীর
আজীবনের সঞ্চয়,
হারিয়েছে অনাবশ্যক খুনসুটি,
আর একরাশ হাসির হুল্লোর।
বিরহের রাজপথে অকালের বসন্তে রাঙাগোলাপ আর পলাশের পাপড়ির নরম বিছানায়…….
প্রেম রয়ে যায় চির অক্ষত।
কলমে নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)