গীতশ্রী সিনহা। সম্পাদকীয় কলমে।
সম্পাদকীয়
আমাদের সকলের মধ্যেই ভাব আছে, ভালোবাসা আছে, আবেগ তাড়িত অনুভূতি আছে, আছে চিন্তাভাবনার প্রকাশ। আমাদের হয়তো ধারণা উচ্চশিক্ষিত না হলে বা লেখাপড়া না জানলে সে তার মধ্যে সুপ্ত লেখক সত্ত্বাকে নাড়িয়ে তুলতে পারবে না !
আমরা যদি ভাবি, আমাদের সত্ত্বাকে জাগ্রত ও বিকশিত করতে পারি সহজিয়া জীবনবোধের সহজসরল ভাবনার মাধ্যমে ! লেখক হতে হলে শিক্ষিত বা জ্ঞানী হতে হবে, এমন কথা একেবারেই ঠিক নয়। পৃথিবীর খ্যাতিমান অনেক লেখকই বেশি লেখাপড়া জানতেন না। বড় লেখক হওয়ার প্রতিবন্ধকতা আসে নি তাদের। বিষয়টি আমরা না ভেবেই বলে থাকি… আরে বাবা সবাইকে দিয়ে কি সব কাজ হয় ! না না, আমি কোনোদিনই লেখক হতে পারবো না ! এই অব্যক্ত ভয় নিয়ে কলম ধরা সত্যিই কঠিন !
একজন অভিভাবকের কাছে তার ছেলে বা মেয়ে কী করেন প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, আমার ছেলে লেখাপড়া করে। অথবা তিনি বলবেন, আমার মেয়ে পড়ালেখা করে। এই ‘লেখাপড়া ‘ অথবা ‘ পড়ালেখা’ এই শব্দের মধ্যে শিক্ষার্থীর লেখক সত্ত্বা বিধৃত রয়েছে। শব্দ দুটির মধ্যে অর্থেক হলো ‘পড়া’, বাকি অর্থেক ‘লেখা’। এই লেখার অর্থ শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র থেকে উত্তরপত্রে যদি সীমিত না রেখে, তিনি স্বাধীন চেতনায় লেখেন, নিজ ডিসিপ্লেনে আগ্রহী হয়ে লেখেন… তবে তিনি লেখক সত্ত্বাকে একাডেমিক সীমানাপ্রাচীর দিয়ে আটকাবেন না।
একজন সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী যদি মনোবিজ্ঞানীনে আগ্রহী হন, তাহলে তিনি অবশ্যই মনোবিজ্ঞানীনের বিষয় নিয়ে লিখবেন। কেউ যদি রসায়নের শিক্ষার্থী হন,আর তার আগ্রহের এলাকা হয় সাহিত্য, তাতে ওই বিষয়ে লিখতে তার অসুবিধার কথা নয়। হুমায়ূন আহমেদ তো রসায়নের শিক্ষক ছিলেন।
আমি জানি, খুবই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আসলাম আজ ! আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত বিশ্লেষণের মাধ্যমে কিছু বলার ইচ্ছে থাকলো।
তবে , তন্ময় প্রবন্ধ বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখার সময় নিখুঁত বিন্যাসের জন্য যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লেখককে প্রচুর অনুশীলন করা প্রয়োজন… আজ কেবল মাত্র ছুঁয়ে গেলাম।
আজ এ-ই পর্যন্ত, দেখা হচ্ছে আগামী সংখ্যায়।
গীতশ্রী সিনহা। সম্পাদকীয় কলমে।
সম্পাদকীয়তে পড়া এবং লেখা তথা সাহিত্যচর্চা নিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ সারগর্ভ আলোচনায় মুগ্ধতা অপার।
পরবর্তীকালে বিস্তারিত পর্যালোচনা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।