কারিগরের মূর্তি গল্প ***প্রসেনজিৎ আরিয়ান

******** কারিগরের মূর্তি গল্প ********

——— প্রসেনজিৎ আরিয়ান ———-

কারিগরের পরিবার একই গ্রামে একই পরিবারে বসবাস করতেন। দাদার নাম অরূপ মন্ডল ৫৭ বছর বয়স। কারিগর তার দাদার সঙ্গে ৫২ বছর কাটিয়েছিলেন। কারিগরের দাদা গ্রামে চাষবাস করে জীবিকা চালাতেন। কারিগর মূর্তি তৈরি করে, শেষ রাতের পরিবার একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লেন। কারিগর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন দাদা প্রতিদিনের মতো সকালে খাবার খেয়ে মাঠে চাষ করতে গিয়ে স্ট্রোক হয় হাসপাতালে যেতে তিনি মারা যান। পরিবার শোকাহত, কারিগর তার ছোটবেলা দাদার স্মৃতি গুলো মনে পরছে। পরেরদিন কারিগর দোকান খুলে মূর্তি তৈরি করছে, কৃষ্ণ, কালী মূর্তি
সারাদিন তৈরি করার পর বিকেল বেলা মহিলা সমিতি থেকে চাঁদা তুলতে এসেছে কৃষ্ণ ঠাকুরের। চাঁদা দেবেন.. কারিগর আমার দাদা মারা গিয়েছে আমি দিতে পারবো না আমাদের অচ্ছুৎ? অচ্ছুৎ
বলছে এদিকে কৃষ্ণ মূর্তি তৈরি করছে এই মূর্তি মানুষে পুজো দেবে, মূর্তি তৈরি করে টাকা পাবে এদিকে বলছে অচ্ছুৎ। কথাটি কারিগর শুনতে পেয়ে যায়। মিহিলা সমিতি ওর দোকান থেকে পাশের দোকানে যেতে থাকে। কারিগর তার কর্মচারীকে বলে দেখলে মহিলাগুলো কি কথা বলল।

কর্মচারী মনে মনে ভাবছে যে মূর্তি তৈরি করছে তার পুজো দিতে চাঁদা চাইছে তখন অচ্ছুৎ, অচ্ছুৎ অবস্থায় সেই মূর্তি তৈরি করে বিক্রি করবে তখন কিছু নেই।

এই মুহূর্তে আবার পুজো হবে?

এটাই পৃথিবীর নিয়ম, জানলে অনেক কিছু না জানলে কিছুই না।

নিয়ম শুধু তৈরি ভালো রাখার জন্য তুমি নিজেকে ভালো রাখ সবকিছু ভালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *