গীতশ্রী সিনহা সম্পাদকীয় কলমে
সম্পাদকীয়
কাজী নজরুল ইসলাম… এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব কে সঠিক মাপা খুবই দুঃসাধ্য। জীবনের নানা দিক থেকে উপকরণ খুঁজে পেয়েছেন মানুষটি।
সুভাষচন্দ্র বলছেন, তাঁর অন্তরটি যে বিদ্রোহী একান্তভাবে সত্য কথা। আমরা যুদ্ধে যা গান গাই, কারাবাসেও সে-ই গান গাই, তবে তাঁর দুর্গম গিরি কান্তার মরু… এই প্রাণ মাতানো গান আমি কোথাও শুনি নি। তাঁর স্বপ্ন সমগ্র বাঙালির স্বপ্ন।
কবির পদবি বলে দিয়েছে, তিনি মুসলমান… কিন্তু অন্নদা শঙ্কর বললেন, ভুল হয়ে গেছে বিলকুল, সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে, ভাগ হয়নি তো নজরুল। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত বললেন, তাঁর মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনা রহিত। প্রমাণিত হয়েছে নজরুল মুসমান কবি নন, তিনি বাংলা তথা বাঙালির জাতীয় কবি।
একজন মানুষকে চেনা আর তাকে জানার মধ্যে ব্যবধান ঠিক কতোটা সেটা বুঝতে কখনো কখনো আমাদের পুরো জীবনটাই লেগে যায়। বিস্তর এই ব্যবধানটা পেরিয়ে আসল মানুষটার কাছে পৌঁছানো অতটা সহজ নয়, যতটা আমরা ভাবি। তাই আজও জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম আমাদের কাছে অনেক অজানা থেকে গেছেন। তা-ও বলি, কাজী নজরুল ইসলাম এমন একটি নাম আমাদের কাছে, ছোটবেলা থেকে আজও পরিচয় হয়, এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত থেকে যাবে আমাদের সাথে।
এদেশের মানুষ হিসেবে তাঁকে জানা দরকার আরও অনেক বেশি, কয়েকটি বইয়ের পাতায় যেন সীমাবদ্ধ না থেকে।
শুভকামনা শুভেচ্ছা রইল সকল পাঠক বর্গ এবং প্রিয় কলমের প্রতি।
গীতশ্রী সিনহা সম্পাদকীয় কলমে।
দিদিভাই, অনেক বড় একটা বিষয় সংক্ষিপ্ত ভাবে যে দক্ষতায় উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিসত্যিই প্রশংসনীয়। আসলে বাংলা সাহিত্যের আকাশে নজরুল একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিসর দিয়ে নজরুল ইসলামকে যত পড়ছি তত অবাক হচ্ছি। তিনি ছিলেন ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তার যে দিকটি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো, “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”। তিনি ছিলেন সার্বজনীনভাবে সকলের।