প্রসঙ্গ-ভুল,,, কলমে-নিতু চৌধুরী,,,
প্রসঙ্গ-ভুল,,,
কলমে-নিতু চৌধুরী,,,
‘ভুল’ এই শব্দটি থেকে আমরা জীবনের প্রতিক্ষণে অনেক শিক্ষা পাই।জীবনের শুরু থেকে শেষ দিন অবধি আমরা সকলেই ভুল করি,নিজের কাছে ঠিক হলেও অন্যের কাছে হয়তো সেটা ভুল। ভুল কাজ,ভুল সম্পর্ক,ভুল বোঝা নিয়েই জীবন শুরু, সেটা আছে তাই তো আমরা ঠিকের সন্ধান করি।জীবনটা হলো ভুল থেকেই শিখে নেওয়ার, শুধরে নেওয়ার লড়াই। কখনো হারতে হারতে মনে হয় এইবার সত্যিই হেরে যাওয়া ভালো, কি হবে যুদ্ধটাকে আর টিকিয়ে রেখে। জীবনের প্রতি নিজের এই মনোভাব টাও হয়তো ভুল। তবুও কোথাও মনের কোণে আশার কিরণ উঁকি দেয়।আমি হয়তো তোর কাহিনীতে কোথাও জায়গা করে নিতে পারবো না তবুও তুই থেকে যাস আমার মনের চিলেকোঠার গোপন কোণে। তোকে ভুলে যাবো সেই কাজটা বোধহয় করতে পারবো না কোনো দিন। সারাদিনের পরে রাত্রি নেমে এলে,তুই আসিস আমার মনের ঘরে,কেন ভুলতে দিলি না আমায় নিজের মতো করে?
ধূলো মাখা জমা অভিমান গুলো বুকের মধ্যে জমতে জমতে পাথর হয়ে গেছে।একটা ঝড়ের অপেক্ষা চলতে থাকে। সেই ঝড় ভুলের পাথর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে নতুন করে তৈরি করে দেবে আমাদের পথ।আবার তুই আমায় বলবি,”সব ভুল ছিলো রে তুই ও ভুলে যা,আয় না আর একবার দুজনেই সব ভুলে বাঁচি”।আসলে এই কথাটা বলতে গেলেও একটা মন লাগে, ইমোশন লাগে, বিবেক লাগে, কৃতজ্ঞতা বোধ লাগে। এই একটা কথা একবার বলা যায়, দুবার বলা যায় কিন্ত বারবার বলা যায়? আমরা ক্ষমা করতেই থাকি ততক্ষণ যতক্ষণ সেটা সীমার মধ্যে থাকে কিন্ত ভগবানের কাছেই কি সবসময় ভুলের ক্ষমা হয়?শাস্তি তো পেতেই হয়। তাই বারবার কাউকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করা এটাকে বোধ হয় ভুল বলে ধরা যায় না।
কথার আঘাতের ধার কিন্ত ছুরির আঘাতের থেকেও গভীর হয় ছুড়ির আঘাত মলম লাগালে হয়তো সেরে যায় কিন্ত কথার খোঁচা সহ্য করা বড়ো কঠিন তাই কাউকে কথা বলার আগে বোঝা উচিত সেটা সেই মানুষ টাকে অপমান করা হচ্ছে না তো?
আমাদের এই ছোট্ট ছোট্ট ভুল গুলোই একটা সময় সম্পর্ক গুলো শেষ করে দেয় কিন্ত আমরা নিজেদের কে ঠিক প্রমাণ করার জন্য সেই মানুষটির কাছে ক্ষমা চাওয়া তো দুর উল্টে তার নামে আরো পাঁচ জনের কাছে কটুক্তি করি নিজের দোষ ঢাকতে।
সেই ভুলগুলোর বোধ হয় সত্যিই কোন ক্ষমা হয়না।
হয় কি? তখন কি করা উচিত ভুলের সেই কারণ টাকেই নির্মূল করা উচিত না আবার সেই পাঁকে তলিয়ে যাওয়া উচিত?উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম বন্ধুরা ।