“আকাঙ্ক্ষার দরজা” রীতিশা পাল ✍️
“আকাঙ্ক্ষার দরজা”
রীতিশা পাল ✍️
গভীর রাত মাঝেমধ্যেই পালাবার পথ খোঁজে,
যদিও আকাঙ্ক্ষা গুলো পথ খুঁজে পায়নি অদ্যাবধি
দরজা অবশ্য একটা ছিল কিন্তু তাতে কড়া নেড়ে ও সাড়া মেলেনি,
অলিতে গলিতে লুকোচুরি খেলা থেমে থাকেনি কোনোদিন,
তাজা রোদ্দুরের মাঝে স্বপ্ন দেখাও বন্ধ হয়নি।
তৃষ্ণায় ফেটে পড়া চাতাল টার জন্য বৃষ্টি চেয়েছিলাম,
কিন্তু সেই বছর মেঘেদের ডেসিবেল বড় কম ছিল
তাই একটা সুইমিং পুল ভাড়া করেছিলাম গাটের কড়ি খরচ করে,
মধ্যরাতে হঠাৎ ভেসে উঠেছিল কিছু মরা মাছ,
জানিনা এলো কোত্থেকে !
মাছেদের দাম তো আমি মেটাইনি,
হঠাৎ শ্মশানের ডোম এসে দর কষাকষি করে শেষমেষ কিনে ফেললো সবকটা মাছ।
আমার সুইমিংপুলের ভাড়াটা উসুল হয়ে গেল বটে,
তবে প্রশ্ন করা হয়নি ডোমকে মৃতদেহ পোড়াতে পোড়াতে মাছ পোড়ানোর শখ হল কেন !
এও প্রশ্ন করা হয়নি শ্মশানের ঐ একই চুল্লিতে মাছগুলো পোড়ানো হবে কিনা!
কি লাভ ? মাছেদের তো আর বিধবা হবার শোক নেই,
অনাথ হবারও জ্বালা নেই।
তাছাড়া ওদের কপালের লিখনেই যখন পোড়া লেখা আছে,
তখন সে গৃহস্থের কড়াইতেই হোক অথবা শ্মশানের চুল্লি তে তালেগোলে সেই তো একই ।
আমার লাভ এটাই সুইমিং পুলের ভাড়া মিটে ও বেশ কিছু পয়সাকড়ি বেঁচে গেছে,
তাই দিয়ে বরং একটা পাকা রাস্তা কিনে গট গট করে হেঁটে চলে যাবো আকাঙ্ক্ষা গুলো কে ঝুলিতে ভরে নিয়ে।
কি লাভ অযথা প্রশ্ন পুষে !!!