🌹 অন্তরীক্ষে তুমি অনন্যা 🌹 কলমে-নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)
*******🌹 অন্তরীক্ষে তুমি অনন্যা🌹*********
********(পর্ব-৮)*********
**********(অবহেলিত প্রেম)****************
কলমে-নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)
তোমার জন্য যুগের পর যুগ তপস্যায় মগ্ন কোন মহাবীর,
যার বীরত্বে কেঁপে উঠেছিল বহু প্রতাপশালী রাজাও……….
তুমি কখনো রানী আবার কখনো সেবাদাসী।
দেবদাসীও হয়েছো!
দেবতা পেয়েছো কিনা জানিনা,
তবে পেয়েছো ধর্ষিতার স্বীকৃতি।
জীবন্ত দগ্ধ হয়েছো অনেকবার;
অকারণের সতী হওয়ার কি উগ্র বাসনা তোমার!
তোমার শরীর থেকে একটু একটু করে খসে পড়েছে মাংস,
দলা পাকানো মাংসের আড়ালে অস্থিসার শরীরটা যেন চিৎকার করে বলছে………
সতীত্ব নয় আমার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায়!
একটা আস্ত শরীরে আগুন দিয়ে তোমারা কি নিষ্ঠুর নৃত্য করেছিলে সেদিন;
আমার আর্তনাদ যেন আমাতেই মিলিয়ে যাচ্ছিল ক্রমশ,
কয়েকটি যুগ আমাকে পুড়িয়ে জ্বলে উঠলো তোমার মানবিকতা।
একটার পর একটা আন্দোলন!
আর ইতিহাস হয়ে ওঠা আমার বেদনার্ত জীবন,
কখনো কখনো আবার উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র আমাকে নিয়ে লেখা…………………
লেখকের পুরস্কার জুটলেও
আমার দেবীত্ব
প্রাপ্তি!
আজও অধরা,
আজও রাত নামলেই শুরু হয় আমার অস্তিত্ব প্রমাণের যুদ্ধ!
মাটির প্রতিমাতে আমার দৈব শক্তির প্রকাশ যত সহজে হয়!
ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে ওঠে আমার মানুষ হওয়ার যুদ্ধটা।
কাব্যগ্রন্থের কেন্দ্রীয় চরিত্রে শুধু দেবতারূপী পুরুষের বর্ণনা,
আর নারী!
সেতো ছলনাময়ী;
যুদ্ধ শেষের চোখের জল আর একরাশ শূন্যতা।
তবুও আজও আমি অপেক্ষায় থাকি সেই কোন একদিনের……….
যেদিন প্রজ্জলিত অগ্নীতে তুমি খুঁজে পাবে প্রেমিকা আর আমি খুঁজে পাব!!!!!!
আমার অস্তিত্ব।