‘প্রেম’ বসন্ত নিয়ে আসে **** মধুপর্ণা বসু
‘প্রেম’ বসন্ত নিয়ে আসে
মধুপর্ণা বসু
একবার কেন? ঘুরেফিরে আসে সেই স্বপ্ন দেখার নির্জন বেলা,
প্রেম বার বার আসে টুকরো টুকরো অক্ষরকে সেতারের সাতটা তারে বেঁধে নেওয়ার সুযোগ দিতে।
রিনিরিনি নূপুর যে বাজে ষোড়শীর ইতস্তত লজ্জায়, বুক জুড়ে পার হয়ে যায় সে আঠারোর উন্মাদ ইচ্ছের স্রোতের মুখে। গাঢ় কাজলের, মিহিন ঠোঁটের ফাঁকে ওড়নার গেলো গেলো ভাব-
উড়েই বুঝি যায় বাইশের ক্ষীণ কটিতে গোঁজা ধানী রঙের লিনেন আঁচল।
“লক্ষ্মীটি দোহাই তোমার আঁচল ধরে টেনোনা”
আর যে যা বলুক পাড়ার লোকে, আমরা একুশে হাওয়ার পন্থী…
আমাদের চোখে আগুন, বুকে সাগরের ডাক; আমরা নতুন নতুন করে ভরেছি জীবনের সুরাপত্র, আমরা এমনই দুর্বিপাক।
পলাশের মাথায়ও একটা নীল আকাশ আছে, উড়ে যায় যাক রঙিন মরশুমি দিন, বসন্ত হোক চিরনবীন।
তারপর নীল দিগন্তের সীমা ছেড়ে ঘরে ফেরা।
পানপাত্র, কাঁচের পেয়ালা ছেড়ে পান পাতায় মুখ ঢাকে, দুইয়ে মিলে একটা সম্পর্ক, কপালের গুচ্ছ চুলে চুমু এঁকে দেয় বিশেষ সেই নাম। তারপর বুঝে শুনে শতরঞ্চ খেলায় এচাল, বেচাল হলেই মাত্।
প্রেম আসে, প্রেম যায়। সম্পর্ক শেকল নয় মুক্তির আকাশে ডানা মেলা দুই কবুতর।
একটা বিন্দুতে জড়িয়ে ধরে ঘরে ফেরার আরাম।
তারপর দীর্ঘ ধরে রাখা মায়াডোর, ছিন্ন হয় ক্যামনে?
যদিও বা ছিঁড়ে যায় কাব্য খানি যত্নে রেখো আপন নিজত্বের অন্দরমহলে;
যেন কোন কুচক্রী বিচ্ছেদ শব্দ গেঁথে গোটা উপন্যাসের উপসংহার বদলে না দেয়। সব দেওয়া-নেওয়ার গোধুলীর আলো যেন ঝড়ে বয়ে না যায়।
বিদায়ী ঝরা পাতার মর্মর রাগে যেন ছাই না হয় কবেকার স্বর্ণালি দিনের সুর। এতোটুকু প্রেম দিয়ে যেও প্রিয় হৃদয়ে।