“জনক” পাপিয়া সাহা
“জনক”
পাপিয়া সাহা
মহাকাল অতিক্রমনের অনন্ত গতিপথে,
থামায়েছিলে তোমার যাত্রাপথ বিচিত্র ইচ্ছায়।
এনেছিলে সাথে করে জন্মপরিচয় পত্র।
হে জনক,তোমার উৎসারিত অমৃত অবগাহনে
ভূমিষ্ঠ আমরা।জাতক জাতিকা।
সৃষ্টির মহামন্ত্র ধ্বনিত হয়েছিল সেদিন
আবার। জল, স্থল, বৃক্ষ, অরন্য, পৃথিবী ।
অনন্তকাল ধরে জন্মান্তরের এই ধারা
আ-বহমান কাল ধরে প্রবাহিত গতিময়
সেই সত্যকে সাথে করে তুমি দিলে
আমাদের পৃথিবীর ঠিকানা।
বাকহীন ক্রন্দন ধ্বনিতে সুস্পষ্ট হল আমাদের অস্তিত্ব।
জাগতিক পৃথিবী মহা জাগতিক ধ্বনিতে জানাল স্বাগত।
বিস্ময়াবিষ্ট অর্ধোন্মীলিত দুচোখ দিয়ে দেখলাম
জনক জননী আমার একান্ত আপনার
ধমনীতে প্রবাহিত রক্তস্রোতের সাথে মিশে গেল সত্ত্বা।
পেলাম নিরাপদ আশ্রয় আর নিশ্চিত আশ্বাস,
বিশুদ্ধ বংশপরিচয় ভরসা আর বরাভয় বার্তা।
মানব জীবন যাপনের পূর্ণ অধিকারে
আমন্ত্রণ জানাল পৃথিবী।
হে পিতঃ দৃপ্ত পৌরুষের উন্নত প্রতীক তুমি।
সত্যকে সাথে করে জীবন যুদ্ধে অনবরত,
ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে লড়াই করেছ
নির্ভীক সৈনিকের মত।
তোমার দু বাহুতে ছিল নিরলস কর্মযোগের অনন্ত সাধনা
বক্ষেতে ছিল মানব প্রেমের অফুরান উচ্ছ্বসিত ভালবাসার বন্যা।
যা লাভ করেছিলে নিরাসক্ত পবিত্র হৃদয়ে ঠাকুরকে ভালবেসে।
তোমার গভীর দু চোখে ছিল আধ্যাত্মিক অনুসন্ধিৎসা
মহাজাগতিক অনুভবে সয়েছিলে সকল পার্থিব যন্ত্রণা গৈরিক সন্ন্যাসীর মত
সংসারে সকল ক্ষেত্রে বিচরণ করেও অমৃত অনুসন্ধানে ছিলে রত।
শেখালে, জীবনের মন্ত্র, পার্থিব বিলাস,সুখ,বৈভব ক্ষনেকের তরে
সব ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
মহাবিশ্বের ওপারে।
যেখানে নাই কোনও ভয়,নাই দুঃখ, নাই জরা মৃত্যু।
আছে শুধু অনন্ত অমৃতময় আনন্দ, হে পিতঃ।
Wonderfully written & narrated. I do not other word to mark how good it is?