বাংলার মধু কবির জন্ম দিন কবি মধুসূদন দত্ত (যশোর)
মধু কবির শেষ দিন ও সমাধি বিষয়ে
দু/চারটি কথায় শ্রদ্ধা নিবেদন।
আজ -২৫জানু: বাংলার মধু কবির জন্ম দিন
কবি মধুসূদন দত্ত (যশোর)
২৫ জানুয়ারী ১৮২৪– ২৯জুন১৮৭৩
++++++++++++++++++++++++++++++
বাঙালি কবিদের মধ্যে একমাত্র মধুসূদনই
নিজের সমাধি লিপি লিখে গেছেন।
” দাঁড়াও পথিকবর,জন্ম যদি তব/বঙ্গে
তিষ্ঠ ক্ষণকাল এ সমাধি স্থলে “, কবিতাটি
এক টুকরো কাগজে লিখে ছেঁড়া কাগজের
ঝুড়িতে ফেলে দেন। কবি কন্যা শর্মিষ্ঠা
সেটি দেখতে পেয়ে সযত্নে তুলে রাখেন।
শর্মিষ্ঠা এটি তুলে না রাখলে, এই অনবদ্য
কবিতা কোথায় হারিয়ে যেতো। মধুসূদন
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ১৮৭৩-২৯জুন।
মারা যাওয়ার চোদ্দ বছর পর,আমেরিকান
পাদ্রী ডল সাহেবের সমাধি নির্মাণ উপ-
-লক্ষ্যে ১৮৮৭সালে কলকাতায় এক সভা
ডাকা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তখন-
-কার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ উমেশচন্দ্র
দত্ত। সভায় কথা ওঠে, – বাঙলার কবি
মধুসূদনের কোন স্মৃতি ফলক স্থাপিত হয়
নি। সেই সভা সিদ্ধান্ত গ্রহণের করে যে,
তাঁরাই সমাধি স্থল নির্মাণ করবেন। তাঁরা
চাঁদা তুলে সাত বছর ধরে সমাধি মন্দির
তৈরী করেন। উদ্বোধন করেন কবির প্রিয়
বন্ধু ব্যারিস্টার মনোমোহন ঘোষ। উপস্থিত
ছিলেন কবিতা আবৃত্তি করার জন্য, তাঁর
আত্মীয় কবি মান কুমারী বসু। তিনি তাঁর
লেখা ” উচ্ছাস ” কবিতাটি আবৃত্তি করে
পরিবেশকে গুরুগম্ভীর করে তোলেন।
{স্বভাবের শিশু ” বঙ্গ কবি কুলেশ্বর ”
বাল্মীকির প্রিয়ানুজ বঙ্গের মোহর,
আজি তাঁরে সমাদরে
বঙ্গবাসী পূজা করে
পাষানে চিত্রিত ওই সমাধি উপর,
শ্রী মধুসূদন দত্ত অক্ষয় অমর }
স্তম্ভের একপাশে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী
ইংরেজিতে লেখা, অপর পাশে খোদাই
করা বিখ্যাত সেই সমাধি লিপি:———-
দাঁড়াও পথিকবর জন্ম যদি তব
বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল!এ সমাধিস্থলে
( জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
বিরাম ) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত
দত্তকুলোদ্ধব কবি শ্রী মধুসূদন!
যশোরে সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ তীরে
জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী!
মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
——————–
সংযোজিত:-
অনেকেই জানেন না। বর্তমানের
বিখ্যাত ভারতের টেনিস খেলোয়াড়
লিয়েন্ডার পেজ মাইকেল মধুসূদনের
বংশোদ্ভূত।
সূত্র:যুগান্তর, ৪ মে, ১৯৬৯.
সংগৃহিত