সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা
সম্পাদকীয়
থাকুক স্বাধীনতা, আসুক বিশ্বাস, বহন করি ভরসা। মননে স্বাধীন চেতনার উদয় হোক, আত্মা বহন করুক স্মৃতি। ক্যালেন্ডার শাসিত কিছু চিহ্নিত দিনে নিয়মাবলি মেনে পতাকা তুলে গলা উঁচিয়ে, মঞ্চ সাজিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের স্টাইলে দাঁড়িয়ে সমবেত ভাবে বলে চলেছি ” বিপ্লবী দিনের জয়হোক “… উৎসবমুখর ছুটির দিন, রক্তদান শিবির, ফুটবল ক্রিকেট ম্যাচ, পিকনিক সব আছে। নেই শুধু প্রকৃত আদর্শের স্বাদ ! চারিদিকে শুধু নানা রকম ভড়ং – এর বৃথা ব্যস্ততা। শাক দিয়ে মাছ ঢেকে চলেছি নিপুণ কৌশলে। আজও বিধবা মা ছেলে বউ এর কাছে সর্ব সমক্ষে জঘন্য ভাবে অত্যাচারিত হয়ে চলেছে প্রতিনিয়তই। মায়ের লজ্জা গ্লানি ঢাকতে আসছে কি তেরঙ্গার স্বাধীন দেশের পতাকা, মা কি তাঁর উজ্জ্বল মুখটা আড়াল করতে পাচ্ছেন পতাকার স্বাধীন আঁচলে ! পথেঘাটে মাঠে ময়দানে এমনকি বাড়ির ছাদেও পতপত করে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বাধীনতার গর্ব ! বৃদ্ধ বাবাকে অসুখের ভারে চালান করা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে ! স্বাধীনতার আসল মানে আজও ঝাপসা। বাড়ির আনাচে-কানাচে পরাধীনতার ঝুল জমে আছে, জমে আছে কতো মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গুমরে থাকা কান্নার নিশ্চুপ ব্যথা। একটা উড়ন্ত শাড়ির আঁচল আজও ঝুল কালি মেখে স্বাধীনতার দিকে তাকিয়ে আছে, ভাবছে হয়তো দিন ফিরবে সত্যিকারের স্বাধীনতার হাওয়ায় ! আজও স্বাধীনতা ঝুলন্ত বারান্দায় ঝুলে আছে, লুকিয়ে আছে অর্ন্তবাসের মতো উজ্জ্বল পোশাকের আড়ালে। তাকে শুধু খুঁজে দিতে পারবে কেউ ? দেখতাম একবার স্বাধীনতা দেখতে কেমন ! পথ শিশুদের জড়িয়ে ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা ” স্বাধীনতা ফিরবে কবে ! স্বাধীনতার স্বাদ টা কেমন ! স্বাধীনতার আসল মানে ! ” আরও কতো প্রশ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অলিতে-গলিতে ! অথচ রাজপথ সুসজ্জিত ভাবে সেজেগুজে হাজির স্বাধীনতার জয়ধ্বনি দিতে দিতে।
যাক, এসব কথার শেষ নেই। তাই হয়তো শুরু করেও লাভ নেই ! অবচেতন মনে কিসব লিখে ফেললাম, তার জন্য অবশ্য দুঃখিত আমি নই। কাউকে না কাউকে লিখতে হবেই।
শুভকামনা ভালোবাসা রইল সকল পাঠক সাহিত্যিক দের প্রতি। তাঁদের ছাড়া দিনাজপুর ডেইলি বিনোদন বিভাগ অচল।
সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা।
কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছো। লেখার তুলনা নেই।