ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে —– বোধিসত্ত্ব
ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে
বোধিসত্ত্ব
আমার সন্ন্যাসী আদরটুকু যদি গৃহস্থ আঁচলে ধরে রাখতে পারো তবে তোমাকে ডাকব ‘কালজয়ী’।
যে ভালোবাসা ব্যাক্তিগত নদীতে ডুবে যায়, তার তো কোনো সুগন্ধ হয় না।
পথ প্রশস্ত হলে নিদ্রাটাও সপ্তর্ষির দরজায় জেগে থাকে।
কারণে অকারণে যদি শুধু বেঁধেই রাখতে চাও তবে তোমার একলব্য বাউল কী করে মেঠো গন্ধ মেখে পুজোর আয়োজন সাজাবে?
ঘরবন্দি মধ্যবিত্ত মায়ায় আমার চৈতন্য ঘুমিয়ে পড়ে।
জীবন তো এক বহতা নদী , আসমুদ্র যার ঠিকানা।
ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে,
এবার না হয় গাঁটটা খুলে দাও
আমার গন্তব্য নীলাচলের ওপারে।
আকাশ শুধুমাত্র শূন্যতার গর্ভ নয়,
সে তো বিহঙ্গের মুক্ত চরাচর;
জাহ্নবীর সদা জাগ্রত বিশ্বস্ত ছাদ।