যে পথে হাঁটলে শ্যামলী নদীটাকে স্পর্শ করি —- বোধিসত্ত্ব

যে পথে হাঁটলে শ্যামলী নদীটাকে স্পর্শ করি
বোধিসত্ত্ব

বসন্তভেজা প্রাচীন ছায়াপথের মেঠো গন্ধ বুকে নিয়ে চলছি অনুপ্রিয়ার খোঁজে।

গতকাল আর আজকের মধ্যে সুগন্ধি একটা ফারাক থাকলেও কিছুটা আলতো মায়া যেন সকল দূরত্বকে শ্রাবন্তী মাঠ করে তুলেছে।

কোনো বাঁধনকেই তো আর ছেড়ে যাওয়া যায় না , বাঁধন‌ মানেই অমৃতাক্ষর।

পলাতক হ‌ওয়ার কোনো পথ খোলা নেই,
সেই আদিকালেই আমার চতুর্দশী ললাটের সজল ওষ্ঠের রাজতিলক এঁকে দিয়েছ।

রারবার হোঁচট খেয়ে খেয়েই তোমার অনামী বৃত্তের কাছাকাছি এসে নিজের মধ্যে শ্যামলী নদীটাকে খুঁজে পাই।

তুমি তিলোত্তমা বলেই তিলে তিলে আমার সিন্ধু হয়ে ওঠা‌।

প্রতি মুহূর্তকে নিঃশব্দ আলিঙ্গনে আচ্ছন্ন করে যে ঝড়টা তোমাকে উপহার দিই, তার জোরেই তো বেঁধে রাখি।

এছাড়া সবিশেষ তেমন কোনো ছাড়পত্র তো আমার কাছে নেই, যা দিয়ে টুকরো টুকরো করে তোমাকে আঁকড়ে রাখব।

জানি কোনো সম্পর্কই অবৈধ হয় না , শুধু আমাদের চোখেই প্রলেপ থাকে।

যে পথেই হাঁটি সে পথ‌ই নগ্ন হয় , কিন্তু ভগ্ন করি না।

সকল পথকেই সদর বুকে জড়িয়ে বৈধ বালিয়াড়ি করে তোলাতেই রাঙামাটি পথিকের উপর্যুপরি জয়।

নিভৃতে তোমার সকালবেলার প্রতিটি অগোছালো চুলের অলকানন্দা ছুঁয়ে আমি বটবৃক্ষের মতোই জয়ী হয়ে গেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *