কবিতা ~ “বৈষম্য- বিদ্রোহ- বিবেক” ~ কলম- তরুণকুমার পাল
কবিতা ~ “বৈষম্য- বিদ্রোহ- বিবেক” ~
কলম- তরুণকুমার পাল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ওহে বৈষম্যের দল ! কি শুনছি- তোমরা নাকি চলে যাবে- চিরতরে?
না না না তাতো হতেই পারে না-
তোমরা ছিলে, থাকছো- থাকবেও সমাজের পরতে পরতে –
নত মস্তকে দুর্বল দুস্থ জনতার ঘরে ঘরে, মনে রেখো বৈষম্যদল -তোমরা বন্দি ধর্মান্ধের গহীন কারাগারে!
চাইলেও তোমাদেরকে তো হারিয়ে যেতে দেবে না ধনীক শ্রেণীর দল-
তোমরা যতই অস্থিরতায় ছটফট করে হৃদয় ভাঙোনা কেন? উঁহু-না তবুও তোমাদেরতো মুক্তি নেই!
তোমাদেরর যন্ত্রণা নিরিক্ষণেই অট্টহাসি হাসবে রাজনদের প্রাণ –
তবুও তোমাদের নির্বাসনে পাঠাবে না-
কারণ তোমাদেরকেই তো ওদের খুব বেশি প্রয়োজন-
কখনো তোমরা হীনতার চাবুকের ঘায়ে ঝরা রক্ত মুছে –
বাঁচার তরে ভুখা উদরে- সেইতো আবার হাত পেতে দাঁড়াবে-
ওদেরই রাজ দরবারে!
তোমরাই সিপাহী সেজে অস্ত্রহাতে পাহারা দেবে ওদের!
রাজ অট্টালিকার তোরণ শোষিত মণিমাণিক্য কোষাগার।
তীব্র আক্রোশে পুড়ে সুপ্তমনের টগবগে রক্ত বুকে চেপে-
উৎপীড়িত জীবন গুলোর জ্বালাময়- বিদ্রোহী ইচ্ছেগুলোর ঘটবে অকাল মৃত্যু- তবুও তোমরা বেঁচে থাকবে বৈষম্যদল- যুগে যুগে সারা পৃথিবীজুড়ে –
বৈষম্যদল তোমরা থাকবে ধনিক আর নির্ধনের- মাঝখানে-
বৈষম্যেরা তোমরা থাকবে জমিদার আর কৃষকের ঋণ বন্ধনে-
বৈষম্যদল তোমরা থাকবে শাসক ও দলিতের নিপীড়নে-
বৈষম্যদল তোমরা থাকবে দারিদ্রতা ও প্রাচুর্যের আচার-আচরণে-
বৈষম্যরা তোমরা থাকবেই থাকবে মানুষের শ্রেষ্ঠ অন্ধ বিবেকি গোঁড়ামি সৃজনে –
তোমরা আজো আছো থাকবে ধর্মে বর্ণে রক্তক্ষরণ রণে-
কি ভাবছেন আপনারা?শিক্ষিত বিজ্ঞ জনগণের তীক্ষ্ণ বিদ্রোহ?
না না ভীতির কারণে আজ সবাই নির্বাক মেরুদণ্ডহীন পঙ্গুতে পরিণত,
তাই মনুষ্য সৃষ্টি বৈষম্যরা পৃথিবীতে তোমাদেরই স্থান শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত-
ঈশ্বর সৃষ্টি বিবেক মানবিকতা সবাই ঘুমন্ত বিজ্ঞজনের বিবেক ঘুমের ভান করে নিষ্ক্রিয় থাকুক অন্ধের মতো-
যদি বিবেক জেগে ওঠে জাগবে মনুষ্যত্ব- অনুকম্পা?
ধূলো ঝেড়ে ফেলো- সহানুভূতি ও মানবতার অনুভূতিগুলো-
চুনোপুঁটির দল ক্ষুধিত উদরে রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে বুলেটে- ঝাঁজরা হয়ে মরছে?
ওরা শ্রমিক চাষার দল- কয়েকটা মরছে- মরুক না- চুপচাপ দেখে যাও-
নিজেদের কোলে ঝোল টেনে তোমাদের আখের তো গোছানো?
গভীর জলে ডুবে জল খাও – টের পাবেনা কেউ ?
শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী একটু বুদ্ধি করে গা- ভাসিয়ে দাও!
বৈষম্য তো বাঁচবেই হতদরিদ্র শ্রেণীর রক্তে মুখ্য বীজ হয়ে-
বিত্তবানের শোষণ আর শাসক শ্রেণীর পদাঘাতইতো ওদের প্রাপ্য পুরস্কার-
সহস্র বৈষম্য! যদি কখনো তোমাদের মুক্তি ঘটে তো সৃষ্টি হবে নব ইতিহাস-
মেহনতী মানুষ গুলো কি কখনো গণতন্ত্রী সাম্যবাদ দেখে যেতে পারবে – এ মনে প্রশ্ন জাগে এটাই ???
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~