তোমার জন্য ছন্দা চ্যাটার্জি
আজ ৩০শে নভেম্বর। ঠিক দু’বছর হলো মহাকালের আহ্বানে সারা দিয়ে চলে গেছো। কিছু বলছি শোন।
তোমার জন্য
ছন্দা চ্যাটার্জি
জানি একদিন তুমি আসবেই ফিরে,সেই প্রতীক্ষায় থাকি,
এ্যালবামটা খুলে ধরলেই জলে ভরে যায় আঁখি।
ফেলে গেছ কত প্রেরণা তুমি আমার কবিতা খাতায়,
আজ শিলালিপি লেখে শব্দেরা খাতার প্রতিটা পাতায়।
চেনা তামাকের গন্ধটা আজো রয়ে গেছে ঘর জুড়ে,
তারই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকি,যতই যাওনা দূরে।
হৈমন্তী চাঁদ অশ্রুস্নাতা হয়ে নেমেছে মাটির বুকে,
আমি চন্দ্রাহতা প্রেমিকা, দু’হাতে জ্যোৎস্না মাখি মুখে।
তোমার ফেরার আশায় কতো রাত হয়ে যায় ভোর,
তুমি ফিরবে বলেই রোজ সকালে ধুয়ে দিই ঘর-দোর।
তুমি ফিরবে বলেই পূব আকাশে সূয্যিমামার উঁকি,
তুমি ফিরবে বলেই ফুলের বাগানে পাখিদের ডাকাডাকি।
তুমি ফিরবে বলেই দুপুরের মেনু উষ্ণ মাংসভাত,
তোমার জন্যে রান্না করেছি পুড়িয়ে নিজের হাত।
তুমি ফিরবে বলেই নবাবী আতর ছড়িয়ে দিয়েছি চাদরে,
তুমি ফিরবে বলেই বালিশ দুটিকে সাজিয়ে রেখেছি আদরে।
একলা রাত কাটছে কতই জাগলে ভোরের রবি,
দেওয়াল জুড়ে অতন্দ্র প্রহরী তোমার সজাগ ছবি।
অশোক,শিমূল পলাশের রং ক্রমশ ধূসর যবে–,
মরা জ্যোছনায় হিমঝরা রাতে ঠিক জানি দেখা হবে।
( আমার কর্তা চন্দন চ্যাটার্জির ছবি দিলাম।)