অন্তরীণ
————

পশ্চিমের জানলা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলের ভাঙ্গা রোদগুলো, ছায়াদের সাথে রোজ কাটাকুটি খেলে।

তারপর হঠাৎ অন্ধকার হয়ে ঝুলে পড়ে দেওয়াল ঘড়ির অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘুরতে থাকা
দুটি কাটার মাঝখানে। শুরু হয় রাতের গল্প।

একটা, দুটো খসে পড়া তারার কথা,
উজ্জ্বলতর জ্যোতিষ্কের কথা, সব থাকে ঝুলিতে।

অন্ধকার মাপতে মাপতে উত্তাল সমুদ্র
এক ঢেউয়ে বালিয়াড়ি ছাড়িয়ে ভিজিয়ে দিয়ে যায় মাথার বালিশ,
অথচ রাত ভেজে না নিজে।

তারা গুনতে গুনতে ভুলে যাওয়া ধারাপাতের জাবর কাটে মন,
একে চন্দ্র…… দুইয়ে পক্ষ……. তিনে নেত্র……।।

সময়ের পরিমিতি বোঝে রাত্রিও!
সুরসপ্তকে মায়াবী ঝড় তুলে দরবারী কানাড়ায়
মেহফিল সাজায় সে, স্বপ্নময় আবেশে।
জাদুবলে শুকিয়ে যাওয়া মূহূর্তগুলো স্বপ্ন বোনে,
অন্তরে বলে, “হেরে যাওয়া বড়ো কথা নয়…
বড়ো কথা হল জেতার আশা….।
ছায়া তো আবার ছোটো হবে।।”

সত্যিই!! ছায়া পুনরায় ছোটো হয়।
জমাটবাঁধা আশা ছুটে চলে এদিক থেকে সেদিক.
নির্বিকার ঘড়ির কাটা শুধু আউড়ে চলে
টিক… টিক.. টিক….!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *