— প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা— সঞ্জয় কুমার কর্মকার
— প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা—
সঞ্জয় কুমার কর্মকার
আশ্বিনের শারদ প্রাতে, সেজে উঠবে রঙিন আলো, বেজে উঠবে অদ্ভুত আঁধারে আলোকের নূপুর।
শঙ্খ ধ্বনিতে দেবীর বন্দনায় স্থিতি ও প্রলয়ের ডাকে জগতের সর্বময় শক্তির মূর্ত রূপে ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালায় ছড়িয়ে যাক শুভ মহরতের শুভ সূচনা মহালয়া দুর্গাপুজোর আনন্দধারা।
জলাভূমি চরাঞ্চলে শুকনো রুক্ষ নদী,অপরূপ কাশের শোভায় মুখরিত হয়ে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে যায।
জীবনের সমস্ত হতাশা বিপন্নতা, শোক ব্যাকুলতাকে ছাড়িয়ে অপার মহিমার স্পর্শে কতোই প্রাণখোলা অম্লান হাসি।
ব্যতীত হাওয়ার উদ্দামতায় বিদ্যমান কতোই অনন্ত জোয়ার, অনাবিল সৌন্দর্যের স্বস্তিতে কতোই অনন্য রৌদ্রের দুপুর,।
অন্যান্য সামাজিক সম্মিলনের আনন্দে উৎসাহে কতোই যে উপহার প্রদান, উপবাস, মণ্ডপ দর্শন, আলোকসজ্জায় ভরে কতোই চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ভালোবাসার শান্তির বার্তায় বয়ে আসে পাতা রুক্ষ কাশের বাহার, চারিদিকে অনন্ত পূজোর আমেজ, দিকেদিকে আনন্দের সাদা মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে প্রশান্তির পরশে উড়ে শুভ্র কাশের আঁচল ।
কণ্ঠে যেন শিউলি ফুলের মালা দুলিয়ে প্রকৃতির শোভায় শরৎ জড়িয়ে চারিদিকে যেন থোকা থোকা গাঢ় জীবনস্মৃতি।
প্রার্থনায় আনন্দময়ীর আগমন, নব ঘন্টার ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত মন্ত্রের সেই আদি অকৃত্রিম মাতৃবন্দনার চণ্ডিপাঠে বাতাসের মৃদু দোলে পবিত্রতার প্রতীকে শুদ্ধ করে যায়।
ছেঁড়া ছেঁড়া আকাশ, মাটিতে সোনালি রৌদ্রের পরশ, ভেসে যায় সাদা মেঘের খেয়া,শিশিরে ভেজা দুর্বাঘাসের সাজে ছড়ানো রাশি রাশি কতোই প্রজক্তা শিউলিফুল।
প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মতোন উড়ে যাওয়া কতোই পাখির ঝাঁক,নির্মল আলোয়, বয়ে যাওয়া নদীর রুপালি ধারায় সূর্যের আলো, কলসি কাঁকে কতোই সাজে মেঠো পথে হেঁটে চলে গাঁয়ের কতোই বধূ,মহালয়ার পুণ্য লগ্নে ফুটে ওঠে জগতের অপার লীলা।
দিনের উজ্জ্বল রোদ্দুরের ঝিকিমিকি আর রাতের ধবল জ্যোৎস্নাস্নাত রূপে নেচে ওঠে উৎসবের আমেজে।
আলোক-শিশিরে-কুসুমে-ধান্যে বাংলার প্রকৃতিও হেসে ওঠে বাঙালির প্রাণের উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা।।