চৌধুরী বাড়ির ঘট বিসর্জন লেখিকা- বাবিয়া নন্দী
এবারের পূজা সংখ্যা উপলক্ষে আমার প্রথম কলম ধরা একটি উপন্যাস নিয়ে হাজির হলাম
নাম- চৌধুরী বাড়ির ঘট বিসর্জন
লেখিকা- বাবিয়া নন্দী
পর্ব -১
চারিদিকে ঢাকের আওয়াজ।সারা বাড়ি জুড়ে বিসর্জনের ঘনঘটা।মায়ের আগমনী যেমন ঘটা করে পালিত হয়,তেমনি ঘটা করে পালন করা হয় মায়ের ঘট বিসর্জ্জনের পর্ব টাও।এমনটাই তো হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।সাথে সাথে শঙ্খধ্বনি,উলুর ধ্বনি ছাপিয়ে,বাজি পটকার আওয়াজ ভেদ করে কচিকাচাদের কন্ঠস্বর আর সাথে সেই জানা একই শ্লোগাল-আসছে বছর আবার হবে।প্রতি বছর বাঙ্গালির ঘরে ঘরে অধীর অপেক্ষায় প্রহর গোণা হয়,কবে মা আসবেন।বারোয়ারীর পূজার তো এক ঝক্কি।কিন্তু এ যে ঘরোয়া পূজো।রথের শেষে,অর্থাৎ উল্টোরথের শেষ পর্বেই মায়ের কাঠামো তৈরীর কাজ অতি নিপুণ ভাবে শুরু করে দেন শশীভূষন চৌধুরী তাদের সেক্রেটারি com ম্যানেজার বিমল বিশ্বাস কে দিয়ে।এই বিমল বিশ্বাসই হলেন বহু পুরোনো ও বিশ্বাসী একজন মানুষ।তিনি বংশপরম্পরায় চৌধুরী বাড়ির যাবতীয় কাজ সামলে আসছেন।তাই এই বাড়ির প্রতিটি ইঁট পাথর আর বাড়ির সমস্ত সদস্যদের সাথে তাঁর একপ্রকার আত্মার টান পড়ে গেছে।শশীভূষনই হলেন এখন চৌধুরী পরিবারের হর্তাকর্তা বিধাতা বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই।জমিদার বাড়ির পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তি ও সাবেকিয়ানা কিছুটা ম্লান হয়ে এলেও ক্ষীন প্রদীপের শিখার ন্যায় এখনও প্রজ্জ্বলিত ও দোদুল্যমান।তাই শশীভূষন বাবুর ধারণা অনায়াসেই আরও দুই তিন পুরুষ অর্থ সমুদ্রে কলসী ডুবিয়ে তাঁর প্রাপ্য ঠিকই আদায় করে নিতে পারবে।
ক্রমশ প্রকাশ্য (চলবে)।