স্মৃতিপটে ভেসে থাকা চরিত্ররা বড়ই বেয়ারা। মনের কথা(বাবিয়া)
স্মৃতিপটে ভেসে থাকা চরিত্ররা বড়ই বেয়ারা।
মনের কথা(বাবিয়া)
আমাদের জীবনে কিছু কিছু চরিত্র রা সাময়িক ভাবে এসে অনেক কিছুই এলোমেলো করে দিয়ে যায়।কখনও কখনও মনে হয় বোধ হয়,তাদের সাথে না দেখা না হলেই ভালো হোতো।আচ্ছা, সব্বাই কি আমাদের জীবন টা কে এলোমেলো করে দিতে পারে?হয়তো না।কখনও কিছু মিষ্টি মধূর স্মৃতিও ছড়িয়ে দিয়ে যায়।হয়তো তাদের সময়কাল টা যৎ সামান্য।ক্ষণিকের তরে আসে তারা।আবার কালের নিয়মে চলেও যায়।মনে হয়,কি করতে এলো?কেনই বা এলো?কি উদ্দেশ্য ছিলো সৃষ্টিকর্তার?অন্যদিকে ভাবতে গেলে মনে হয়,তারা না এলে হয়তো জীবনের বেশ কিছু অধ্যায় অসম্পূর্ণ বা অসমাপ্ত থেকে যেত।সম্পর্কের স্থায়িত্ব টা যে বড্ড আপেক্ষিক। আমাদের হাতে সব সময় থাকে না।কিছু টা থাকে নিয়তির কাছে।আসলে আমরা বড্ড বেশী রকম প্রত্যাশা করে ফেলি।মনে করি,যারা আমাদের জীবনে আসবে,বন্ধু ই হোক বা শুভাকাঙ্খী বা কোনো অস্পষ্ট প্রেমিক/প্রেমিকা।তারা সারাজীবন আমাদের সাথে থেকে যাবে।কিন্তু সেটা তো আমাদের expectation. Reality তো অন্য কথা বলে।তারা স্বশরীরে আমাদের সাথে না থাকলেও তাদের মধুর স্মৃতি গুলো তো আগামী জীবনের পাথেয় হয়ে থেকে যায়।আর খারাপ গুলো আমাদের যন্ত্রণা দেয় ঠিকই,কিন্তু অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়।সব সময় বই পড়েই আমরা সব শিক্ষা অর্জন করতে পারি না।আমাদের জীবনের পথে ঘটে চলা অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের অজান্তেই বেশ কিছু শিক্ষার উপকরণ এর ভূমিকা পালন করে।আমরা ভালো স্মৃতি গুলো কে আঁকড়ে বেঁচে থাকি।আর খারাপ গুলো থেকে সতর্কতার বার্তা পাই।তাই আমরা না চাইলেও সেই সব রকম চরিত্রগুলোর কোনো না কোনো প্রতিদান আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।সব টাই এক একটা অধ্যায়।এবার,আমরা ভালো গুলোকে সযত্নে হৃদয়ের গোপন কুঠুরীতে বন্দি করে রাখি।আর খারাপ গুলো কে একটা অন্য বাক্সে বাক্সবন্দী করে রাখি।জানি,এই খারাপ গুলোই ভবিষ্যতে আরও কিছু খারাপ বা অশুভ কে চিনে নিতে সহায়তা করবে।থাক,দুটোই থাক,দুটি সত্ত্বার মতোন করে।মানুষের মধ্যে ই যেমন ঈশ্বর আবার অশুভ শক্তি বিরাজ করে।ঠিক তেমনই আমাদের স্মৃতিপটেও তারা তাদের নিজস্ব স্থান দখল করে থাকে।কেউ কারোর জায়গা নিতে পারে না।শুধু আমরা কোন টা কে বাছবো তার একটা ছোট্ট ইঙ্গিত দিয়ে যায়।কোনো দিনই অশুভ শক্তির এত্তো টা ক্ষমতা নেই যে সে ওই শুভশক্তি গুলোকে দমিয়ে রেখে দেবে।বৃষ্টি ভেজা রাতের শেষেও কিন্তু পরের দিনের সূর্যোদয় হয়।তা না হলে সারাজীবনই অন্ধকার স্যাৎ স্যাৎ এ রাত্রি থেকে যেতো প্রকৃতির কোলে।আমরা কোনোদিনই ভোরের সূর্যোদয় দেখতে পেতাম না।তাই আমার বিশ্বাস অশুভ শক্তি,খারাপ কিছু সর্বদাই ক্ষণস্থায়ী। যা চিরদিন সত্য ও শুভ মঙ্গলময় তা যতোই দূরে অপ্রকাশিত থাকুক না কেন,একদিন না একদিন সূর্যের আলোর মতোনই প্রকাশ পায়।আকাশে রামধনু খেলা করে যায়।আমাদের মস্তিষ্কেও হয়তো এমন টাই হয়।খারাপ এর সাথে আমরা আমাদের অতীতের মিষ্টি মধূর সম্পর্ক গুলোর কথা চিন্তা করি বলেই হয়তো মনে আশা জাগে।আর আশাই তো আমাদের নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জোগায়।
মনের কথা(বাবিয়া)।