—ছায়াতরু— # সঞ্জয় কুমার কর্মকার#
—ছায়াতরু—
# সঞ্জয় কুমার কর্মকার#
ঐশ্বরিক বৃক্ষশাখায় আজ ও কতো উজ্জ্বল আলো, মুক্তোর ফুলে এখন যেনো রত্ন পাথরের কুঁড়ি;
রাতে জ্যোতিরাঙ্গের জ্বলন্ত প্রদীপের ঔজ্জ্বল্য প্রভায় পুষ্পসুবাস ফিরে আসে।
এ জীবন যেনো নৈবদ্য, জীবন-মৃত্যুর শাশ্বত অন্তর্জালের নিঃসঙ্গতা সত্যের নিরূপণে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকে।
আমার এই দীর্ঘ অপেক্ষার পথে স্বমহিমায় জাগো হে অনন্ত অশেষ ভালোবাসা…।
অজেয় আকাঙ্ক্ষার মাঝে স্পর্শকাতরতার পূর্ণ শিহরণে জ্বলে উঠো হে প্রদিপ্ত আলো, হৃদয় জুড়ে আবার উঁকি দিয়ে যেও, বারাংবার ভালোবাসায় ফিরে এসো।
তোমার ওই মনোহর ভ্রূযুগল, দৃপ্ত স্পর্ধিত সংযমনে নিলীন হয়ে নদীর পাড়ে ধাক্কা দিও,
ফিরিযে দিও সৌন্দর্য, ফিরিয়ে দিও কুমুদে ভরা শোভিত তোমার নির্মলতা।
ফিরিযে দিও আমার শিল্পকলা, শ্বেতপদ্মের শুভ্রতায় গভীর-ব্যাপকতায় ফিরিযে দিও ভাস্কর্যে চিত্রিত আমার শৈল্পীক সম্ভার।
এক আঁজলা জলের প্রান্তভাগে এখন অধীন হয়ে থাকো, বিভূতির ব্যাপ্ত দীপে অতশী বেলার গন্ডি পেরিয়ে ফিরে এসো প্রিয়।
রাঙাডিঙি বেয়ে নিভৃত অশ্রুবিন্দুর নিস্তব্ধতায় অনন্ত নীরব স্মরণ ছুঁয়ে ধ্বনিতে আবার দীপ্তির কিরণ আনো।
আমার সন্ধিলগ্নের আকস্মিকতায় দুর্লভ এনে চূর্ণ বিচূর্ণ জীবনের হৃদয়কে সঙ্গী করে যেও, অনুভূতির মুহুর্তে কেবলই দৃশ্যই ছাযাতরুর মাঝে হাসিয়ে দিয়ে যেও ।।