আনহ্যাপি ডেমোক্র্যাসি —- দুলাল কাটারী
আনহ্যাপি ডেমোক্র্যাসি
দুলাল কাটারী
আর ঠিক কটা আন্দোলনের পর মানবতা প্রতিষ্ঠা পাবে আমি জানি না!
তবে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এরকম এক বাবাও চায় তার ছেলে একদিন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে; সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াবে।
আর সেই জন্য বাবারা জীবনে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিষটুকুও পান করতে পিছুপা হয় না।
রিক্সাওয়ালা- ঠ্যালাওয়ালাও চায় তার মেয়ে নিজের একটা মেরুদণ্ড আছে বলে দাবি করুক ;
পরের বাড়ির অত্যাচারের আগুনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রাখতে পারুক।
প্রতিটা দশকে শত শত আন্দোলন,
অধিকার অর্জনের আন্দোলন,
যোগ্যতা অর্জনের আন্দোলন,
প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আন্দোলন,
শিক্ষিত যুবক-যুবতীর শক্ত কিছু একটা ধরে
বেঁচে থাকার আন্দোলনের আগুনে গলে যাওয়া সমাজের দিকে চেয়ে মনে হয়,
এযেন দিনের আলোয় চোরদের দেশের সম্পত্তি ভাগের এক গভীর চক্রব্যুহ,
তাদের সম্পদ যে কোথায় যাচ্ছে জনগণ জানে না।
সমাজে সমতা বিধান কাপুরুষের দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়…
হ্যাপি প্রিন্সের ধাতুর তৈরি হৃদয়ও একদিন কেঁদেছিলো অনুশোচনায়!
আসলে আমাদের রাজার ‘বেশ করেছি’ ভাবটাই সবার উপরে।
নিরুপায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবিদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে সংবিধানের উপর।