অনুভবে আমি’ —– রুবি মুখার্জি
‘অনুভবে আমি’
রুবি মুখার্জি
……………….
সূর্য-রশ্মি -হীন ঘাসের মতো ফ্যাকাশে দিনগুলো থেকে,তবু কথা নিই প্রাণপণ! ওরা এতটাও অবুঝ নয়! পলগুলো দেয়… সমর্পণে, মুহূর্তও! নিঃসাড়ে বলে….”চূড়ান্ত আর্তির হৃদয়-নিংড়ানো নির্যাসে যে আকুলতা, সেসবের বিকল্প নেই!”
*************************************
অতলটুকু তো ‘অতল’ই! তা বিশ্লেষণ! নির্মেদ সূক্ষ্মতা এতই আত্মস্থ….অত্যন্ত সুচতুর দক্ষতায় টুপ করে ঠিক ডুব দেয়।হৈহৈ বাচালতাকে পাশ কাটিয়ে,তার চলন ভীষণই আত্মপ্রতিষ্ঠ!
*************************************
প্রতি-পৃথিবীতে সব জারিজুরি থমকায়!অত্যন্ত সূক্ষ্ম সংযোগে সব্বাই যুক্ত পরস্পরে ! অহেতুক দুর্ব্যবহার, সমতা বজায় রেখে…নিজেই পাক খেতে থাকে প্রতি-ব্যবহার ফিরিয়ে দিতে ! ‘আঘাত’ নিজেই মাথায় রাখে কর্তব্যকর্ম! ভুল হয় না প্রদক্ষিণ শেষে আঘাতকারীর কাছে পৌঁছাতে! প্রতি-পৃথিবী সব মনে রাখে!
*************************************
পরমুহূর্তটাই সত্যি সর্বদা,আর মনের চোখ! আজকাল প্রায়শই, আকাশে গরু উড়ে উড়ে যায়, কোকিল ও নিজেই বাসা বোনে! আজকাল, আশ্চর্য হতে খুব আশ্চর্য লাগে! ‘অদ্ভুত’গুলো বড্ড বেশী নিজের নিজের! স্তব্ধতা এত বেশী আধুনিক জানা ছিল না! সব অনুভূতি আজ বড্ড কম দামে বিকোয়!
*************************************
তবু ‘মায়া’ নামক এক যাদুমন্ত্র নেশার মত ‘জীবন’ ছড়িয়ে দিতে পারে! নিজের ভিতরে ডুবতে ডুবতে ‘গোলমাল’ গুলো খেয়াল করে একপাশে সরিয়ে রাখতে রাখতে… একদিন ঠিক অতল ছোঁওয়ার সমস্ত আবহ প্রস্তুত হবে মনের আনাচকানাচে! অনুচ্চারিত কোলাহল গুলো কেমন শান্ত হয়ে যাবে,দেখে নিও!