অনন্ত অভিসারে……. চৈতালী ….
অনন্ত অভিসারে
চৈতালী
…………………..
দুঃখের দোসরের অভিসারে বেরিয়েছি!
ঝড়বৃষ্টির মাঝে আমি একা…..!
আজ নিজের সাথে যুদ্ধ করে পরাজয় স্বীকার করতে চলেছি আমি।
একটা শঙ্কা আজ সব কেমন ম্লান করে চলে গেলো!
আমি ভুলতে চাইছি সবকিছু!
…চাইছি উপেক্ষা করতে!
অবহেলা করতে চাইছি নিজেরই অনুভূতিকে!!
আমি ক্ষতবিক্ষত হয়েছি! কী ভীষণ জ্বালাময় সে অনুভূতি!
….তবুও,…তবুও কী দুর্বার আকর্ষণ!!
আমার অপেক্ষা এত দীর্ঘ যে—
অপেক্ষাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমি।
ভালোবাসি যতটা, তারচেয়ে ঢের ভালোবাসি অপেক্ষায় থাকাটায়।
যত ভুলতে চেয়েছি, অনুভূতিরা ততই নিকটতম যে!
চেয়েছি প্রত্যাখ্যান…!
চেয়েছি অন্তরে আসুক হাহাকার!
চেয়েছি গানে গানে সুরে সুরে আসুক বাঁশির করুণ সুরটিও।
অন্ধকারের কালোর সাথে মেঘের কালো মিলে নিরাভরণ প্রকৃতি অচিন্ত্যনীয় ত্যাগের মধ্যে সত্যকার আলোর পথ দেখিয়ে দিয়েছে আমায়!…তাই তো কৃষ্ণরাতে পাথর কুড়োতে গিয়ে পেয়েছি পরশমানিক।
আমি চাই না শূন্য প্রেম!
আমি চাই প্রাণ, মন,আত্মাকে।
আমার সমস্ত শরীর জুড়ে ডানা ঝাপটাচ্ছে একটা বন্দি পাখি… অথচ এই শরীর নাকি পাথরের!
হা হা!!!
দূর থেকে ভেসে আসা করুণ বাঁশির সুরটা বড়োই দংশন করে, তাই তো মুক্তির বিলম্ব ঘটতে দিতে চাইনা আমি!
তোমার সাথে কাটানো প্রথম সেই শরীরটা প্রতি রাতে পাহারা দিই আমি !
সে এক নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের দিকে ধাবমান….!
এই বালিয়াড়ি বয়স শিরার ভিতর বিশ্রাম নেয় আর অবসন্ন নৌকা আঘাটায় ভিড়লেই ঘুমের শমন জারি হয়।
আমি ঘুমোতে চাই সেখানে, যেখানে আছে অনন্ত প্রেম, অনন্ত ক্রন্দন আর অনন্ত অতৃপ্তি।
চৈতালী
🍂