প্রিয়,-অনিরুদ্ধ ÷÷ দীপা সরকার।।
,~~~~~~ প্রিয়,-অনিরুদ্ধ।।
অনেক দিন পরে তোমার একটা পুরোনো ছবি পেলাম আমার ভাঙাচোরা দেরাজে,ভরা বসন্তে দুচোখে শ্রাবণ ধারা বয়ে গেলো যেন।
তুমি তো জীবনে MOVE ON করেছো নতুনের আঁচলে ঢেকেছো মুখ।আমার সীমাহীন ভালোবাসার দাম দিলে না এক পয়সা, আমি ব্যর্থ প্রেমের শ্রমিক।এখন আমাকে নিয়ে লেখো না একটাও কবিতা তোমার ডায়রীর পাতায়। তোমার চোখে আজ আমি বিমূর্তি,ধূসর। মোবাইল ফোনে আমার মিস কল,রিসিভ কল আজ তোমার মনেও নেই ফোনেও নেই। নব দিগন্তের ধূমকেতু ঢেকেছে পূরাতনের অস্তিত্ব।
আমি বেশ ভালো আছি, তোমার স্মৃতি গুলো নিয়ে তলিয়ে যাই অতলত্বে। তোমার সাথে সেই প্রথম দেখা নির্জন পথে । জড়িয়ে ধরে বলেছিলে এসো বিজয় দশমী টা সেরে ফেলি, আমি ও দ্বিধা হীন মনে নিশ্চিতে তোমার বুকে মাথা রেখেছিলাম সেদিন, দিয়ে ছিলাম ভালোবাসার অর্ঘ্য অগাধ বিশ্বাসে। রাতের পর যেমন সূর্য ওঠে ঠিক তেমনি বিশ্বাস ছিলো তোমার উপর।মনে মনে খুব অহংকার ছিলো জানো, ভাবতাম পৃথিবীর সব পুরুষের চেয়ে তুমি আলাদা। পরের জন্মের পূর্ণ ফলে তোমাকে পেয়েছি,মরণ ছাড়া কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না। আমার সমস্ত ভাবনা, বিশ্বাস ধংস হয়েছে চোরা বালির স্রোতের মত।
তোমাকে চাওয়ার সাধ্য আজ আমার নেই, প্রদীপ শিখার মত জ্বলছে বুকে তোমার দেয়া কষ্ট গুলো,ভেঙে মুচড়ে দুমড়ে আসে বুকের পাঁজর , শেষ হয় না অপেক্ষার প্রহর,চোখ ভেজা সকাল,মন খারাপের দুপুর,জেগে থাকা বিষন্ন রাত কেটে ভোর হয় ,ঘুমিয়ে পড়ে ক্লান্ত ভালোবাসা।
ইট,পাথর চার দেয়ালের মধ্যে কেউ শোনেনি আমার হাহাকার,বোঝেনি স্বপ্ন ভাঙার আর্তনাদ।
সব টুকু অভিমান বুকে নিয়ে চলে যাবো অজানা পথে, অচেনা হাত ছানিতে। তোমাকে নিয়ে লেখা হবে না আর কখনও নতুন বসন্তের কবিতা,এই ফাগুনের ঝরা পাতায় লিখে গেলাম তোমাকে না পাওয়া যত কষ্টের কথা।
যেদিন ঝরা পাতা পৌঁছাবে তোমার কাছে,সেদিন আমি থাকবো না,ডুবে যাবে আমার অন্তিম বেলা।
তুমি ভালো থেকো অনিরুদ্ধ, ভালো রেখো তোমার নতুন ভালোবাসা, আমার শুভেচ্ছা রইলো তোমাদের জন্য।।
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷ দীপা সরকার।।