গীতশ্রী সিনহা । সম্পাদকীয় কলমে।
সম্পাদকীয়
এসো কিছু কিছু ভাবনা চিন্তায় বর্তমান পরিস্থিতি থেকে নিজেদের মুক্ত করি।
শপিং, আড্ডা, পরিজনের বাড়ি যাওয়া সব বন্ধ সাময়িকভাবে, এড়িয়ে চলতে হচ্ছে সাজুগুজু করে বেড়িয়ে পড়া… তবে কি আমরা অবসাদে ডুবে থাকবো ? বিষাদগ্রস্ত হয়ে মানসিক ক্লান্তির শিকার হবো ? একদম না ! ক্রাইসিস আমাদের জীবনের সামনা-সামনি দাঁড়াতে শিক্ষা দেয়।
জীবনের সন্তুষ্টির জন্য এমন কোন পরিকল্পনা করতেই পারি… হয়তো জীবনে আমূল-পরিবর্তন চলে এলো।
নিজের করণীয় সম্পর্কে তালিকা করার আগে ভাবতে হবে কি করা উচিত আর কি করা উচিত না। অগ্রাধিকারের একটি তালিকার কাঠামো সাজিয়ে ফেলে নিজের ইচ্ছে ভালো লাগা পছন্দ সুখ তৃপ্তি নিয়ে ভাবতে হবে। এতে করে আমরা যাই করি না কেন মানসিক চাপ থেকে উদ্ধার পাবো। এবং সাথে সাথে মানসিক সন্তুষ্টি ফিরে আসবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা একই সময়ে চারটি বিষয়কে মাথায় রাখতে পারি।
তালিকাটি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সফল করে তুলতে পারে এবং এটিই হতে পারে বেশি কার্যকর । নিজের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে জন্য কাগজ কলমে টুকে রাখতে হবে। কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থের প্রয়োজন, এবার লিখে ফেলতে হবে কাছের উৎসাহিত বন্ধুদের সম্ভাব্য নাম, তারপর ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করে পরিকল্পনা ভাবনা বিনিময় করতে হবে। আশাকরি সকলেই সহমতে থাকবে, কেননা পদ্ধতিটি চমকপ্রদ।
আত্ম সন্দেহ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসকে আরও জাগ্রত করতে হবে।
নিজের এবং বন্ধুদের গুণের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেকের গুণ অনুযায়ী দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। একসাথে এতোজন ব্যক্তি নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে এতোদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী কি কি কাজ পর পর করা উচিত তারও একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় স্থির থাকতে প্রত্যেকে নিজেদের সহায়তা করো।
যেসব কাজগুলো এতোদিন দমিয়ে রেখেছিল সেগুলোর মুখোমুখি হতে হবে। এমন মনে হতেই পারে বিষয়টি সুখকর নয়। মোকাবিলা করতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টিই আসবে।
নিজে ও নিজের প্রিয় বন্ধুরা যখন বুঝতে পারবে তারা কিভাবে এগিয়ে চলেছে… নিজেদের মধ্যে সুখী ভাব চলে আসবে সাথে মানসিক তৃপ্তি বাড়বে।
এবার প্রশ্ন আসতেই পারে, এসব কি আবোলতাবোল লিখে মাথার পোকামাকড়কে জ্যান্ত চিবিয়ে খাচ্ছে !!!!! সম্পাদকের মাথাটা সত্যিই গ্যাছে ! স্বীকার করছি, হ্যাঁ মাথাটা সত্যিই গ্যাছে ! আমি নিজেও এই একই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছি প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত। এবং আমরা সকলে দলবদ্ধ ভাবে সফল। এসো তোমরাও নিজেদের মতো করে শুরু করো ,হয়তোবা তোমারাও করে চলেছো।
এই সংখ্যায় স্বনামধন্য কবিদের পেয়েছি প্রতিবারের মতো, পেয়েছি শিল্পীদের। তুলির লেখা পাচ্ছি না কেন রে ? সবাই সবার মতো করে লেখা পাঠিয়ে দিও। শুভকামনা ভালোবাসা রইল অপার। সুস্থ থাকো, সুচিন্তায় থাকো।
গীতশ্রী সিনহা । সম্পাদকীয় কলমে।