আত্মবলিদান —– শুভা গাঙ্গুলি
Good morning
Dear
কেমন আছো
আত্মবলিদান
শুভা গাঙ্গুলি
কিছুটা তাপ চেয়েছিলো কেউ, কিছুটা হৃদয়ের উত্তাপ , যা তাদের জীবনধারণে অপরিহার্য ছিলো,
আমি নিজেকে পোড়ালাম,তাপ পেলে তোমরা , বাঁচলে, আমার আত্মাহুতি সার্থক হলো,মহতের দলে নাম লেখালাম আমি,
মহত্বতা তো এমনি আসেনা,
মহত যে কারো সাথে যুক্ত নয়,
মহত যে একাকীত্বে বিশ্বাস করে,
আমি সেই মহত্ব উন্নীত হলাম।
আমার এই পরিবর্তন জগতে মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে আমার মতো আমি
আত্মবলিদান দিতে লাগলো, ফলে তারা উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিবর্তিত হলো,
কাজটা সহজ ছিলো না, হাজারো বাধা অতিক্রম করে দুটি হৃদয় কাছে আসতে পেরেছিলো, প্রচণ্ড দ্রুততায় ,দুর্বার গতিতে একে অপরের হৃদয়ে সকল বাধা অতিক্রম করে, আছডে পড়েছিলাম আর তাতেই দুটি হৃদয় fall For each other .হাল্কা সহজ দুটি ‘আমি’তাদের ‘অহং’ ত্যাগ করে , আর শাস্ত্রেও কথিত আছে এই অহং কি ভীষণ তমোগুণ সম্পন্ন যা তীব্র আলোক যুক্ত তাপ বিকিরণ করতে সমর্থ।
শরীর বিচ্ছিন্ন হলাম ঋণাত্মক যা ছিলো সব ধনাত্মক গুণে বদল হলো,
আমি ধন্য হলাম
জগতের কল্যাণ সাধিত হলো
আর তাপ ও আলোক বজায় রাখতে
আমি আজও জ্বলেই চলেছি, জ্বলেই চলেছি এক মহান নক্ষত্রের সব্রগ্রাসী হৃদয়ে।
আমি hydrogen , fusion সম্পন্ন করে আমি helium হয়েছি।