“অগ্নিভ হিমেল পরশ নাও”— ********* সীমা সান্যাল
“অগ্নিভ হিমেল পরশ নাও”—
*********
সীমা সান্যাল
——————–
——————-
পৌষ যাই যাই দুপুরে নরম আলোয় পিঠ পুড়িয়ে
তোমাকেই চোখ বন্ধ করে ভাবছি অগ্নিভ।
হেসো না প্লিজ, জানি তুমি ভাবছো এ আর নতুন কি?
ছয় ছয় টা ঋতুর আবর্ত চক্রে আমিই তোমার হৃদয়পুরের উন্মোচক-
ছিলাম- আছি – থাকবো।
আমার হাত টা ছুঁয়ে যাও।
আমার হৃৎস্পন্দন অনুভব করো।
আমি আছি তোমার চোখে, মুখে,কানে ঠোঁটে ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
দেখো অসময়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস কি?
বেশ, চলো তবে জানলার কাছে দাঁড়াই।
ছিটা ছিটা বারিধারায় সিক্ত হই আমরা।
চুপ চুপ থাকো– শোন বৃষ্টির আওয়াজ!!
নিস্তব্ধতা সাক্ষী করে রাখো হাতে হাত।
তোমার দু হাতের তালুতে আমার মুখটা ধরো– সেদিনের মতো।
উষ্ণ পরশ দাও ভরিয়ে।
প্রথম উন্মাদনা চোখের তারায় পরে নেবার মুহূর্ত এ পড়ন্ত বেলায় ঝুপ করে আবার নামুক।
না– কোন রসায়ন ভিত্তিক প্রেম না।
এ খোলা চুল পরুক তোমার বুকে,মুখে।
অবাধ্য চুল সরাতে গেলেই মাথা নাড়িয়ে সেই ভাবে আর এক বার কানে কানে বল– ” আমার কৃষ্ণকলি– আমার কথামালা”।
ব্যাস্ততার ভগ্নাংশ সরিয়ে এক টা গোটা পাটিগণিতের বইতে চলো ভালোবাসার অঙ্ক কষি।