কিভাবে যোগ সম্ভব? / বানী দেব
কিভাবে যোগ সম্ভব? / বানী দেব
—————————————-
( পরবর্তী সংখ্যায় সমাপ্ত)
—————————————-
মানব শিশু যখন ভ্রুন অবস্থায় মাতৃগর্ভে থাকে, সে সময় ২ থেকে আড়াই মাস বয়সে তার মস্তিষ্কের পিরামিড আকৃতির মধ্যে দিয়ে সুষুম্না নাড়ী পথে ঐশ্বরিক শক্তি প্রবেশ করে। এবার সেই শক্তি মেরুদন্ডের ত্রিকোণ অস্থিতে এসে সাড়ে তিন পাকে অবস্থান করে। যাকে কুন্ডলীনি শক্তি বলে। এই অস্থিকে গ্রীক ভাষায় স্যাক্রাম বোন বলে। সংস্কৃত ভাষায় পবিত্র অস্থি বলে। শিশুটির জন্মের পর ২ থেকে আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত মূল ব্রম্মশক্তির বা cosmic energy র সাথে তার কুন্ডলীনি শক্তি যুক্ত থাকে। ফলে বিশ্ব ব্যাপী প্রেমময় ঐশ্বরিক শক্তি তার সামগ্রিক দেখাশোনা করেন। কিন্তু এরপর শিশুটি নিজের অস্তিত্ব কে আলাদা করে ভাবতে শুরু করে। ভাবে এটা আমার খেলনা, ওটা আমার চাই, এই আমিত্ববোধ তাকে মূল ব্রম্মশক্তির থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কুন্ডলীনি স্যাক্রাম বোন বা মূলাধারে ঘুমিয়ে পড়েন। শুরু হয় শৈশব থেকেই দূঃখ শোকের জীবন। এই জাগতিক দুঃখ শোকের জীবন থেকে কি মুক্তি সম্ভব না? হ্যাঁ নিশ্চয়ই সম্ভব। যদি ফের ঐ শক্তির সাথে যুক্ত হওয়া যায় তবেই এর থেকে মুক্তি সম্ভব। অর্থাৎ কুন্ডলীনি শক্তির পুনরায় জাগরণের দ্বারা আত্মার সাথে পরমাত্মার যোগ ঘটিত হলে মূল ব্রম্মশক্তির বা পরমচৈতন্য সেই শিশুকালের মতোই আবার তার দেখাশোনা করবেন। অবাক লাগছে শুনতে তাই না? কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটে। কিভাবে এই যোগ ঘটানো যায়? উপযুক্ত গুরুই পারেন সঠিক উপায়ে কুন্ডলীনি জাগরণ ঘটাতে। খুব সহজ, স্বাভাবিক, সামুহিক (collective way) উপায়। এর সাথে পয়সার কোনো সম্পর্ক নেই। কুন্ডলীনি জাগরণ এর মাধ্যমেই আত্মার সাথে পরমাত্মার যোগ সম্ভব।