যোগ / বানী দেব

যোগ / বানী দেব
————————–
( পরবর্তী অংশ)
—————————-
” বিগ ব্যাং থিওরি ” এবং ব্ল্যাক হোলের গবেষক স্টিফেন হকিং এর প্রশ্নের উত্তরের আভাস উপনিষদে আছে।এখানে বলা হয়েছে, এই সৃষ্টির সমস্ত পুঞ্জিভূত শক্তি একটি বিন্দুর মতো সারা চরাচর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই শক্তিকে আমরা যে নামেই ডাকি না কেন তিনি বহু হতে চাইলেন। তার সেই বহু হতে চাওয়া, তার বিভাজনে যে আদী নাদ ধ্বনি উৎপন্ন হলো তা হলো ও – উ – ম।
কেন্দ্রীভূত এই শক্তি বা শিবশক্তি থেকে একে একে মহাকালী, মহাসরস্বতী, মহালক্ষী এই ত্রিশক্তি সৃষ্টি হলেন। যে ত্রিশক্তির সমন্বয় আদি শক্তি, যাকে আবার আমরা দেবী দুর্গা রূপে পূজা করি। আদিশক্তি রচনা করলেন এই ব্রম্হান্ড, গ্রহ, নক্ষত্র। সৃষ্টি হলো প্রান, এমিবা থেকে বিবর্তন এর মাধ্যমে মানুষ, ঈশ্বরের প্রিয় জীব।
ধীরে ধীরে মানব সভ্যতার পত্তন হলো। মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু হলো। আর সেই সঙ্গে জীবনের জটিলতাও বেড়ে চললো। মানুষ এর থেকে মূক্তি পেতে চাইলো।
কিন্তু মানুষ বুঝতে পারলো না এই জাগতিক শোক,তাপ দুঃখের জীবনে শান্তির আনন্দের বাতাস কিভাবে প্রবাহিত হবে? সাধারণ বিষয়ী মানুষের সামনে এ ব্যাপারে কোন দিশা না থাকলেও মুনি ঋষিরা এ ব্যাপারে খোঁজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। তারা অনুভব করলেন যোগের মাধ্যমেই সেই মূল শক্তির সাথে যুক্ত হওয়া সম্ভব। এখন এই যোগ কি?

(ক্রমশ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *