তোমার আমার বিরহের অন্তরালে “””” সুমিতা মুখার্জ্জী
তোমার আমার বিরহের অন্তরালে কত আর সেতু বাঁধি সুরে সুরে তালে তালে
“””””””””””””””””””””””””””””””
সুমিতা মুখার্জ্জী
“””””””””””””
“মায় হে কলহঙ্কিনী রাধা-
কদম ডালে উঠিয়া আছে
কানু হারামজাদা।
মায় তোয় জলে না যাইয়ো হো
ও তোয় ওহো হাটে বাটে ঘাটে না যাইয়ো
ওরে যাইয়োনা যাইয়োনা
মায় তোয় কদম তলা দিয়া
কানহাইয়া পাতিছে ফাঁন্দো
রাধিকার লাগিয়া
মায় তোয় জলে না ঝাইয়ো।
বলি ওহো কলহঙ্কিনী রাধা
কদম ডালে বসে আছে কানু হারামজাাদা
মায় তোয় জলে না যাইয়ো।”
কানুর পিরীতি কুহকের রীতি
অনুরাগ ছুরি বৈসে মনোপরি
কলঙ্কের ডালি মাথায় করি—–
আমি যে পুস্পের শব্দ শুনেছি, দেখেছি সুরের আলোকে—
‘বিমল আনন্দে জাগো রে
মগন হও সুধাসাগরে।।
হৃদয়-উদয়াচলে দ্যাখো রে চাহি
প্রথম পরম জ্যোতিরাগ রে।।
দুঃখ-সহন হলো নিত্যের জন্য দেহ চালনা,ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর প্রেমালিঙ্গনের সাধনা।
সৌন্দর্য হল অতীন্দ্রিয়ের ইন্দ্রিয় বরণ—
যথার্থ সৌন্দর্য
মনন ও চেতনের আদর্শের ওপর নির্ভরশীল।
এক সময় এই ঐক্য এমনই সম্পূর্নতা পায় যে, সে অবস্থা আধ্যাত্মিক পরমের সঙ্গে সংযোগের ক্ষণ।
তবে পার্থিব বস্তু ও অহংকে নীচে রেখে ওপরে উঠতে না পারলে সে অবস্থা লাভ
সম্ভব হয় না।
পরম নৈঃশব্দের মধ্যে একটি গোপন কথা উচ্চারিত হয়েছিল-
‘নিভৃত অন্ধ উদ্যত উদ্ধত প্রেম!’
মানুষ কখনো কখনো তার গোপন অভিপ্রায়ের সন্ধান পেয়ে যায়,তার অসামান্য সত্যের মধ্যে দিয়ে—–
সে জগৎ অকল্পনীয়,অরূপ,উজ্জ্বলতার আধিক্যে ঘনকৃষ্ণ।
তাই বিদ্যাপতি এই পদটিতে বলেছেন,
রাই তার প্রিয়তমের বিদায় পথের সৌন্দর্য
স্বপ্নে ,হৃদয় হেরিয়া অশ্রু সংবরনে উদ্দ্যত।
যে পথে গেলো মোর প্রান বল্লভ
সে পথে বলিহারি যাও।
চাঁপা নাগেশের কি ফুল ফুটিল
কোকিল ঘন করে রাও।।
একূলে গঙ্গা ওকূলে যমুনা
মাঝে চন্দন কোক
যে কানুর গুনে হিয়া জরজর
সে কানু সে দিল শোক।।
কিছু বলবো বলে এসেছিলেম,
রইনু চেয়ে না বলে…
সেক্ষত্রে Manasi conceived by the mind fancied fem….
A woman or sweet heart of one’s fancy…..
স্থিতিস্থাপকতা এবং হতাশাব্যঞ্জক হয়ে
লেখার প্রবণতাই মনসীর চেতনার মর্মস্থলে।
“নিভৃত এ চিত্ত মাঝে নিমেষে নিমেষে বাজে জগতের তরঙ্গ আঘাত,
ধ্বনিত হৃদয় তাই মুহূর্ত বিরাম নাই
নিদ্রাহীন সারাদিন রাত”
love is endless mystery.
because there is no reasonable cause that
could explain it.
‘Love’ which is numberless forms, numberless times,
in life after life
in age after age
forever……
এ যেন প্রেমের একেবারে শেষ কথা…..
কি মুক্তি! কি বিস্ময়!
নৈবেদ্যের উপাচারে দার্শনিক চেতনায়
আজও আমাদের স্তব্ধ হতে হয়।
এ প্রেম চেতনা দিয়ে অনুভব করার বস্তু ততটা নয়, যতটা অবচেতনায় উপলব্ধি
করা যায়…..
ইন্দ্রিয় এখানে আত্মাকে উন্মুক্ত করার
রন্ধ্রপথ মাত্র।
“আঁখি চাহে তব মুখ পানে
তোমারে জেনেও নাহি জানে”
‘মেয়েরা অভিসারিকার জাত যে….
এগিয়ে গিয়ে যাকে চাইতে হয়, তার দিকেই ওদের পুরো ভালোবাসা….’
সন্ন্যাসীর ঔদাসীন্যে বাঁশরী বাজে!
মনসীর অবচেতন স্বত্তায় ছুঁয়ে যায়….
চেতন বৃত্তে নারী পুরুষের প্রেম বিরহের
সম্পর্কের বৈচিত্রে মোহমুক্তির অাস্বাদন
যেমন চিরন্তন তেমনি বৃত্তের পরিধি জুড়ে ভাবগত সাদৃশ্যও লুকিয়ে থাকে।
“তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান,
গ্রহণ করেছো যত, ঋণী তত করেছো আমায়
হে বন্ধু বিদায়……”
So, love is
when the soul starts to
sing and the flowers of your life bloom
on their own.
পরিশেষে এটুকুই………………..
“কি আছে বা তোর?
কি পারিবি দিতে?
আছে কি অনন্ত প্রেম?
পারিবি মিটাতে?
জীবনের অনন্ত অভাব!”