যামিনী জাগানিয়া জোনাকপথ বোধিসত্ত্ব
যামিনী জাগানিয়া জোনাকপথ
বোধিসত্ত্ব
পরমের পাদপদ্মে প্রদীপ জ্বেলে শারদীয় মেঘগুলো যেন অমর্ত্য ঝিনুক হয়ে গেছে।
আগামী হেমন্তকে ঠিক চেনা যায় নির্মাল্যের আষ্টপৃষ্ট ছুঁয়ে থাকা বাতাবি পরশে।
বেলা যতই বাড়ে , পথটা ততই স্ফটিক মালঞ্চের সুগন্ধি চাদরে জড়ানো চরাচর হয়ে যায় ।
এভাবেই সূর্যের পশ্চিম যাত্রার সাথে অন্তিম পরিচয় মিলেমিশে জলবাহিত অমর ঠিকানা।
মধ্যরাতের চেনা শরীরে মায়াবী জোছনার প্লাবন লেগে যাপনটা আজ কেমন যেন এক সহজ বোধের ধৃতিহোম ।
এ কোন মন্ত্রোচ্চারণে দূরবর্তী পথগুলো পাশাপাশি ছায়ামাখা তেপান্তর হয়ে গেছে!
শিউলির সরল সৌরভে বুকের চৌকাঠ জুড়ে সদরের মাখামাখি।
চৈতালী দীর্ঘশ্বাসগুলো সমুদ্রে ভিজে সুমহান ছায়ানটে বিলীন বসন্ত।
অরণ্যবাহিত সুখের জোনাক দেবদূত হয়ে শোণিতে মিশে গেলে আমি পরমাত্মার আত্মীয় হয়ে যাই।
এ যেন এক অতুল বার্তাবাহী রাজপথের ঈর্শনীয় বনেদি পথিক।
দুর্মূল্যের আকাশটা চিরকালীন মখমলে বাসর।
বর্ষা আসলে সেজে ওঠা রজনীগন্ধা মাঠের অন্তরে অন্তরে চলে পরিবাহী সুখের প্রবেশ-প্রস্থান।
আলোটা আন্তর্জাতিক হলেই সীমানা লঙ্ঘনের ভয় উবে যায়।
আলোবিধৌত অন্তিম শ্লোকে জেগে উঠুক জনহিতৈষী মিত্রাক্ষরে সাজানো সুমেরু পারাপার।